অর্থ ও ধন-সম্পদ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম এর বাণী
অর্থ ও ধন-সম্পদ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম এর বাণী
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
দুনিয়া হচ্ছে আখিরাতের শস্যক্ষেত্র। অর্থাৎ আমাদের দুইটা জীবনকে একটা আখিরাত একটা পরকাল আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত করার জন্য। আমরা যদি মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করি তাহলে পরকালে জান্নাত পাব।
আর যদি মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত না করে। তাহলে পরকালে জান্নাত করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। তারা মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে পরকালে জান্নাত লাভ করে। কিন্তু দুনিয়াতে আসার পর দুনিয়া ভুলে গেছে তারা মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে না তারা পরকালের কথা চিন্তা করে না।
তারা জান্নাত জাহান্নামের কথা চিন্তা করে না তারা শুধু এখন দুনিয়ার লোভে আচ্ছন্ন তারা চলে গেছে। তারা আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথে চলে না তারা এতটাই বিপথে গেছে।
তারা এখন শুধু দুনিয়াতে কি হবে এই রাজকীয় ভাবে থাকা যাবে দুনিয়াতে কিভাবে রাজার হালে থাকা যাবে দুনিয়াতে। কিভাবে শান্তি পাওয়া যাবে দুনিয়াতে কিভাবে বেশি করা যাবে এই চিন্তায় থাকে।
আমাদের আজকের আলোচনার মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ধন সম্পদ নিয়ে যে বাণী দিয়েছেন সেটি নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনাটি।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,” প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোন না কোন ফেতনা রয়েছে। আর আমার উম্মতের জন্য ফিতনা হলো ধন-সম্পদ।”
মানুষ যুগে যুগে অনেকের বিপথে চলে গেছেন আর মহান আল্লাহতালা সেই বিপথে মানুষরা যেন চলে না যায়। তারা যেন সত্যের পথে ফিরে আসে সেজন্য অনেক নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন।
অর্থাৎ প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত অনেক নবী-রাসূল এই দুনিয়াতে এসেছিলেন। এবং তারা মানুষদের আলোর পথে নিয়ে এসেছেন প্রতিটা সময়ে সময়ে নবী-রাসূল এসেছিল। সেই সময়ে যারা আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভ করেছে তারা কোন না কোন নবীর উম্মত ছিলেন।
আমরা সর্বশেষ নবীর উম্মত আমরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত। প্রত্যেক নবীর উম্মতেরা কোনো-না-কোনো ফিতনা-ফাসাদের জড়িয়েছিল। অর্থাৎ প্রতি টা নবীর উম্মতেরা নির্দিষ্ট কোন না কোন কাজে জড়িত ছিল।
তেমনি ভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন তার উম্মতদের আগে থেকেই সাবধান করে দিয়েছেন। যে তারা কোন একটি ফিতনায় জড়াতে পারে করতে পারে। আর সেটি হল ধন সম্পদের প্রতি লোভ।
তাই আমরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত এরা কখনোই ধন সম্পদের লোভ করবো না। আমাদের উচিত পরকালের জন্য কাজ করা।
অর্থাৎ আর দুনিয়াতে আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহতালা করবেন। আল্লাহর পথে চলবো এবং রিজিকের জন্য কাজ করলেই হবে কিন্তু আমাদের অতিরিক্ত লোভ করা যাবে না ধন সম্পদের প্রতি। আমরা মহান আল্লাহতালার পথে চলবো এবং তাঁর ইবাদত করব।