আযানের পর যে দোয়াটি পড়বেন
আযানের পর যে দোয়াটি পড়বেন
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
মহান আল্লাহতালা আমাদের তার আমল করার নির্দেশ করে দিয়েছেন। তিনি কিছু কিছু আমল আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন। কিছু কিছু আমল আমাদের জন্য সুন্নত করে দিয়েছেন। আবার কিছু কিছু আমল আমাদের জন্য ওয়াজিব করে দিয়েছেন। আমরা যদি তার আমল করি।
তাহলে ইহকালে ও পরকালে শান্তি পাব। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া তিনি ফরজ করে দিয়েছেন। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে আজান হয়। মুয়াজ্জিন আযানের মাধ্যমে মুসলমানদেরকে মসজিদের ডাকে আল্লাহ তায়ালাকে সিজদা করার জন্য।
আল্লাহ তায়ালার আমল করার জন্য। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা আমাদের জন্য ফরয করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তা’আলা। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নামাজ কায়েম করা।
যখন আযান দেয় তখন আমরা যেখানে থাকি না কেন সব কিছু ফেলে আমাদের আজানের উত্তর দিতে হবে। আজানের উত্তর দেয়ার পর মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে হবে। আমাদের সমস্ত কাজ এর থেকে নামাজ উত্তম।
আর আযানের পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম বলেছেন যেসব দোয়া পাঠ করতে। আজকে আমাদের আলোচনা সেই সব দোয়া নিয়ে। যা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম আমাদের আদেশ দিয়ে গেছেন। চলুন জেনে নেয়া যাক
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম বলেছেন আযানের পর এই দোয়াটি পড়তে হবে
ওয়া আনা আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু, রাদিতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলামি দিনান, ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসুলান’ যে ব্যক্তি এই দোয়াটি পাঠ করে নিয়মিত সে ব্যক্তির সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তাআলা তার গোনাহ মাফ করে দেন।
তিনি আরো বলেন
আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস-সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়া আদ্তাহ’ তার জন্য কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত ওয়াজিব হবে।
আমরা যদি এই দোয়া গুলো করি তাহলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের আদেশ মানা হবে। এবং আল্লাহতালা আমাদের প্রতি সন্তুষ্টি অর্জন হবে। আল্লাহ তাআলার দরবারে আমাদের এই দোয়া গুলো যদি কবুল হয় তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন। যার ফলে আমরা পরকালে জান্নাত পাব।
আমাদের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। এই দোয়া গুলো পাঠ করার ফলে আমাদের আমল বেড়ে যাবে। আমাদের উচিত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম এর হাদিস মতো আযানের পরের দোয়া পাঠ করা।