আশূরায় পরিবারকে ভালো খাবার খাওয়ালে কি হয়
আশূরায় পরিবারকে ভালো খাবার খাওয়ালে কি হয়
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবাণিতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকে আমরা আলোচনা করব দশ এই মহরম এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল নিয়ে। মহান আল্লাহতালা দশ-ই মহররমের দিনে অনেক ফজিলত নিহিত করেছেন। এর ফজিলত মহান আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিভিন্ন হাদিস থেকেই পাওয়া যায়।
এই দিনের ফজিলত এতটাই যে, এই দিনে কোন ব্যক্তি মহান আল্লাহতালার কাছে কিছু চেয়েছেন। তা পাননি এমন হয়নি।এই দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দার মনের আশা পূরণ করে দেন।
যারা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে অনেক কিছু চায়। কিন্তু মনে করেন যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মনে হয় তার দোয়া কবুল করে না। সেই সব ব্যক্তিরা এই দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে চাইতে পারেন। কারণ এই দিনে মহান রাব্বুল আলামিন এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন।
-Advertisements-
যে তিনি এই দিনের যেকোনো দোয়া কবুল করতে পারেন। এই দিনে দোয়া করলে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা অনেক বেশি। হযরত মূসা আলাইহিস সাল্লাম নীল নদের পাড়ে হাজারো সঙ্গী নিয়ে বিপদে পড়েছিলেন। আর পিছনে ফেরাউন বাহিনী ছিল। মৃত্যু সবার নিশ্চিত এমত অবস্থায় আল্লাহর কাছে চাইলেন।
-Advertisements-
মহান আল্লাহতালা রহমত দান করলেন। এবং সাগরের বুকে রাস্তা তৈরি হয়ে গেল। তাহলে প্রিয় পাঠকবৃন্দ একবার ভেবে দেখুন, মহান আল্লাহ তাআলার কত মহিমা! তিনি চাইলে কতভাবে আমাদের রহমত দান করতে পারেন।
আমাদের মুসলিম সমাজে প্রচলিত রয়েছে কিছু কুসংস্কার। মুসলিমদের ঐতিহাসিক দিনে কুসংস্কার ভুল কাজ অনেকেই যেগুলো মেনে থাকেন আর এগুলো মানলে মহান আল্লাহ তা’য়ালা সওয়াবের থেকে গুনাহ অন্তর্গত করেন বেশি। আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব- সেটি সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তা’আলার মহিমান্বিত একটি দিন। চলুন জেনে নেয়া যাক আলোচনা টি।
পরিবারের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে অন্যতম একটি আমল। আশুরার দিনের যথাসাধ্য ভালো খাবার খাওয়া অন্যতম একটি আমল। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিনে পরিবারের প্রশস্ততা রাখবে। সে ব্যক্তি সারাজীবন প্রশস্ততা থাকবে।
এ হাদীসের বর্ণনা সূত্রে দুর্বলতা থাকলেও এই হাদীসটি ধারণা প্রসূত। এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম আহমদ (রহ) বলেছেন এই হাদীসটি বিশুদ্ধ হাদিস নয়। তবে এই হাদিস সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা থাকার কারণে এই হাদীসটি অস্বীকার করা যাবে না।
আশুরার দিনে রোজা রাখতে হবে। আশুরার দিনের অন্যতম একটি আমল হচ্ছে রোজা রাখা। আশুরা উপলক্ষে দুই দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। মহররমের 10 তারিখ এবং 10 তারিখের একদিন আগে ও পরে আপনি রোজা রাখতে পারেন।
এভাবে আশুরার দিনে মহান আল্লাহ তাআলার নিকট আমল করে দোয়া করলে মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সমস্ত দোয়া কবুল করেন। এবং মনের আশা পূরণ করে দেন।
Advertisements