কোরবানির সময় কিছু ভুল কাজ। যা করা যাবে না।কোরবানির সময় করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ
কোরবানির সময় কিছু ভুল কাজ। যা করা যাবে না।কোরবানির সময় করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
আমরা মুসলমান জাতি মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আমরা মহান আল্লাহ তা’আলার বান্দা আর মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। তার এবাদত করার জন্য। তিনি তাঁর ইবাদত করার জন্য আমাদের সৃষ্টি করেছেন এই দুনিয়াতে বিভিন্ন উৎসব প্রচলিত রয়েছে।
তেমনি ভাবে মুসলমানদের জন্য। মহান আল্লাহতালা দুইটি উৎসব রেখেছেন একটি হলো ঈদুল ফিতর আরেকটি হলো ঈদুল আযহা।
ঈদুল ফিতর
ঈদুল ফিতর হচ্ছে মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মীয় উৎসব।. অর্থাৎ দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর যদি পালিত হয় সেটি হল ঈদুল ফিতর।
ঈদুল আযহা
ঈদুল ফিতরের পর মুসলমানদের মাঝে ঈদুল আজহা। উদযাপিত হয় ঈদুল আযহা হল কোরবানির ঈদ। অর্থাৎ ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মুসলমানেরা কোরবানি দিয়ে থাকেন।
কোরবানি দেওয়ার সময় কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হয় আমাদের আজকের আলোচনার? কোরবানি দেওয়ার সময় যেসব গুরুত্ব কোন কিছু করণীয় রয়েছে। আমাদের সেইসব করণীয় নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনাটি।
কোরবানির সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু করণীয় কাজ
১. স্থান পরিষ্কার রাখা
কোরবানির ঈদে অর্থাৎ ঈদুল আজহায় আমরা যে পশুটিকে কোরবানী দেব। সেই পশুটিকে যে স্থানে কোরবানি দেবো সেই স্থানটি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এবং কুরবানী দেয়ার পর অবশ্যই পশুর চামড়া পরিষ্কার রাখতে হবে।
এবং রক্তগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে যাতে পরিবেশ দূষিত না হয় এবং সমস্ত আবর্জনাগুলো এক জায়গায় করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। তাহলে আর পরিবেশ কোনভাবেই দূষিত হবে না।
২. পানি ঢেলে দিন
পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গেই নির্ধারিত স্থানে প্রচুর পরিমাণে পানি ঢেলে দিন। অর্থাৎ যে স্থানটিতে পশু কোরবানি করা হয়েছে যে স্থানটিতে পশুর রোগ ছাড়াও বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থগুলো বের হয়ে আসে। আর এইসব বর্জ্যপদার্থ কিছুক্ষণ পরে শুকিয়ে যাবে। যার ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিবেশে উৎকট গন্ধ বের হবে।
আর এই গন্ধ বের হওয়ার পূর্বেই স্থানটিতে প্রচুর পরিমাণে পানি ঢেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি ঢেলে দিলে কোন আর গন্ধ থাকবে না অর্থাৎ বর্জ্যগুলো সেখানে শুকিয়ে যাবে না। এবং পরিবেশ দূষিত হবে না।
৩. পশুর অন্যান্য অংশ
একটি পশু কোরবানি দেওয়ার সাথে সাথে তার কিছু অংশ থেকে পায়ের নখ ওর মাথার সিং ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমাদের প্রয়োজনের বাইরে সেজন্য। আমরা সেগুলো হেলায় ফেলায় যেখানে-সেখানে ফেলে দেই।
উৎকট গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমাদের উচিত কোরবানির সময় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গুলো নিয়ে মাটিতে পুঁতে রাখা। তা না হলে সেগুলো মুহূর্তে আমাদের পরিবেশকে দূষিত করে দিতে পারে।
কুরবানী দেওয়ার সময় আমাদের অসতর্কতার কারণে বিভিন্ন ভাবে আমাদের পরিবেশকে দুর্গন্ধময় করে ফেলি। আমরা যদি কিছু সতর্কতামূলক কাজ করে থাকি তাহলে আমাদের পরিবেশ দূষিত হবে না। হলে আমরা ভালভাবেই থাকতে পারবো।