চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না এই ঘটনা শুনে
চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
আমরা মুসলমান আর আমাদের ধর্ম ইসলাম। আজকে আমাদের ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। শুধু সৃষ্টিলগ্ন থেকেই আমাদের ধর্ম ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। অত্যাচারিত অনেক মানুষ মানুষেরা আমাদের ধর্মীয় লোকদের উপর অনেক অত্যাচার করেছে।
তবুও আমাদের এই ধর্ম সৃষ্টি লগ্ন থেকেই নিজের গুণের মহিমান্বিত। বিপথগামী মানুষ যারা ইসলামের বিরোধীতা করেছেন। তারা এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন। অনেক বড় বড় যোদ্ধা শাসকেরা এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে। নিজে যা সব ঘটনা কে হার মানায়।
এসব ঘটনার মধ্যে ছিল পাশবিকতা অন্যায় অবিচার। যদি আজও আমরা শুনি তাহলে আমাদের নিজের অজান্তেই চোখে পানি পড়ে। তেমনি কিছু তথ্য আজকে আমরা জানবো। যা শুনলে চোখ দিয়ে পানি পড়বে আপনারা যদি ইসলামের প্রতি আপনার দিলে টান থাকে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনের শেষ হজে যে কথাগুলো বলেছিলেন। সেগুলো বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত। তিনি এই হজের ভাষণে মুসলিম জাতির জন্য সমস্ত রকমের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি যেমন কিছু কথা বলেছেন।
যা হাজার হাজার মুসলমান চোখ দিয়ে পানি করাতে বাধ্য করেছে। প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা গুলো নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন” আজকে সমস্ত অন্যায় অবিচার অন্ধবিশ্বাস কুসংস্কার আমার পায়ের নিচে পদদলিত হয়ে গেল।”
তিনি আরো বলেন” তোমরা তোমাদের দাস-দাসীদের সাথে ভালো ব্যবহার করো তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করো না। তোমরা যা খাবেন তাদেরকেও তাই খেতে দিও। তোমরা যে বস্ত্র পড়বে তাদেরকেও তাই পড়তে দিও।মনে রেখো তোমরা ও মানুষ তারাও মানুষ। তোমরা আল্লাহর সৃষ্টি তারাও আল্লাহর সৃষ্টি।”
তিনি আরো বলেন” সাবধান নারীদের সাথে তোমরা খারাপ ব্যবহার কোরো না। কারণ নারীরা হলো অবলা। কেননা নারীদের প্রতি তোমাদের দায়িত্ব রয়েছে। তোমাদের যেমন নারীদের উপর অধিকার রয়েছে। তেমনি নারীদেরও তোমাদের উপর অধিকার রয়েছে। তাই তাদের সাথে কখনো অন্যায় বা খারাপ আচরণ করিও না।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরো বলেন” মহান আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে শরিক করিও না। কারণ যে মহান আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে শরিক করবে সে কুফুরি করল।
তিনি আরো বলেন” সুদ-ঘুষ একে অপরের সাথে কোন অন্যায় অবিচার করো না। কারণ তোমরা মুসলমানরা একে অন্যের ভাই।
যেহেতু বিদায় হজের ভাষণ এর মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তাঁর জীবনের সমস্ত বাণীসমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। কারণ বিদায় হজ ছিল মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবনের শেষ হজ।তাই আমাদের উচিত বিদায় হজের ভাষণ এর কথাগুলো মান্য করা। এবং সেই অনুযায়ী জীবন-যাপন করা