জুমার দিনের কয়েকটি আমল

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

প্রতি শুক্রবার জুমার দিন জুমার দিন এমন একটি ফজিলতপূর্ণ দিন। যেদিন এ নামাজ পড়লে পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। অর্থাৎ এক জুম্মার নামাজ পড়ার পর আমাদের যত ছোট ছোট গুনাহ রয়েছে।

তার পরবর্তী জুম্মার দিন নামাজ পড়ে আর সেই নামাজে যদি কবুল হয়ে যায়। মহান আল্লাহতালার দরবারে। তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন। তাহলে একবার ভেবে দেখুন জুমার দিন কত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ।

যেহেতু জুমার দিনে নামাজ কবুল হলে আমাদের পূর্বের জুমার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। সেহেতু জুমার দিনের আমল রয়েছে আমাদের আজকের আলোচনার সেইসব আমল নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনাটি।

জুমার দিনের কয়েকটি আমল

১. গোসল করা

জুমার নামাজ পড়তে গেলে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে হয় আর মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার আগে অবশ্যই পাক-পবিত্র হয়ে মসজিদে ঢুকতে হবে। আর পাক পবিত্র হওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে গোসল করতে হবে।। আপনাকে ফরজ গোসল করতে হবে।

তাই জুম্মার নামাজের পূর্বে আপনাকে ফরজ গোসল করতে হবে। এটি একটি আমল তাই অবশ্যই জুমার নামাজে যেতে হলে আপনাকে ফরজ গোসল করতে হবে।

২. মিসওয়াক করা

জুমার নামাজের যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে মেসওয়াক করে যেতে হবে। কারণ এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

৩. হাত পায়ের নখ কাটার

জুমার নামাজে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে পাক-পবিত্র হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার হাত পায়ের নখ বড় থাকে সেই হাত পায়ের নখ গুলো কাটতে হবে। আর হাত পায়ের নখ কাটা জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ। আমল।

৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা

জুমার নামাজে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে পাক-পবিত্র হয়ে যেতে হবে। তাই পাক পবিত্র হওয়ার পর অবশ্যই নামাজে যাওয়ার সময় আপনি যদি আতর দেন। তাহলে অনেক ভালো হয় জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য সুগন্ধি দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

৫. বেশী বেশী দরুদ পড়া

জুমার নামাজের দিন অবশ্যই আপনাকে অনেক আমল করতে হবে। এত আমলের মধ্যেও আপনি যখন বসে থাকবেন তখন বেশি বেশি করে দরুদ শরীফ পাঠ করবেন। কারণ জুমার নামাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে বেশি বেশি করে দুরুদ শরীফ পাঠ করা।

৬. খুতবা শোনা

জুমার নামাজের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে খুৎবা শোনা কারণ জুমার নামাজের দিনেই খুতবা পাঠ করে। ইমাম তাই আমাদের উচিত জুমার নামাজের দিন ইমামের খুতবা গুলো মনোযোগ সহকারে সোনা খুৎবা শোনা। একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

যেহেতু জুমার নামাজ যদি মহান আল্লাহতালার দরবারে কবুল হয়ে যায়। তাহলে পূর্বের জুমার পর্যন্ত আমাদের সমস্ত গুনাহগুলো মহান আল্লাহতালা মাফ করে দেন।

তাই আমাদের উচিত জুমার নামাজে বেশি বেশি করে আমল করা। তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।