দুটি জিকির করলে পাপ দূর করে যেভাবে আমলনামা সবচেয়ে ভারী করবেন আল্লাহ তা’আলা
দুটি জিকির করলে পাপ দূর করে যেভাবে আমলনামা সবচেয়ে ভারী করবেন
কেয়ামতের কঠিন ময়দান। সবার জন্য সমান এই কঠিন ময়দানে সবাই তাদের নিজ নিজ আমলনামা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। যিনি দুনিয়ায় ভালো কাজ করেছেন তিনি আমলনামা ডান হাতে পাবেন আর যিনি দিয়ে ভালো কাজ করেননি তিনি আমলনামা বাম পাবেন হাতে।
Sponsored
কেয়ামতের ময়দানে ৫০ হাজার বছর দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে সবাই পাগলপারা হয়ে যাবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে সবার। তখন সবাই হযরত আদম আলাই সাল্লাম এর কাছে যাবেন। এবং বলবেন হে পিতা আর তো দাড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। আপনি দয়া করে আল্লাহর কাছে গিয়ে বলেন বিচারকার্য শুরু করার জন্য।
জান্নাত জাহান্নাম যেটাই হোক আগে বিচারকার্য শুরু করুক আল্লাহ।তখন আদম (আ.) বলবেন, আমি পারবো না। কারণ সেদিন নবীরা উম্মত চিনবে না। আবার উম্মত নবীদের চিনবে না। সবার একটাই জিকির থাকবে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি। সেদিন নবীরাও তাদের উম্মতদেরকে চিনবেনা এর কঠিন ময়দানে।
পীরের মুরিদের তো কোনো চিহ্নই থাকবে না। হযরত আদম (আ.) বলবেন আমি পারবো না তোমরা নুহ (আ.) এর কাছে যাও। তখন আবার সবাই নুহ (আ.) কাছে যাবেন। নুহ (আ.)সবাইকে বলে দিবেন যে আমি পারবো না। তোমরা ইব্রাহিম (আ.) কাছে যাও। ইব্রাহিম (আ.)বললেন তোমরা মূসা (আ.) এর কাছে যাও।
মুসা (আ.) বলবেন তোমরা ঈসা (আ.) এর কাছে যাও। তখন ঈসা (আ.) বললেন এত দৌড়াদৌড়ি করে কোন লাভ নেই। তোমরা এক কাজ করো। আমি তো তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারবো না। তবুও বলছি তোমরা এই কঠিন দিনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কাছে যাও। একমাত্র তিনিই পারবেন তোমাদের জন্য কিছু করতে।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর কাছে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করতে থাকবেন সবাই। খুঁজতে খুঁজতে এক পর্যায়ে তারা মহানবী (স.) কে পাবেন সিজদারত অবস্থায়। এবং মহানবী (স) আমাদের শেষ বিচারের দিনে কঠিন আজাব থেকে আল্লাহর কাছে নাজাতের চাইবেন আমাদের জন্য।
মহানবী (স) বলে খুব সহজেই ২ টি জিকির এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বিচারকার্যে মিজানের পাল্লা ভারী করতে পারি।
প্রথম যিকিরটি হল,”সুবাহানাল্লিহি ওয়া বিহামদিহি”
আর দ্বিতীয় টি হল “সুবহানাল্লাহিল আযীম”
এই দুইটি জিকির এর মাধ্যমে আমরা কঠিনতম কেয়ামতের দিনে হাশরের ময়দানে খুব সহজেই আমাদের মিজানের পাল্লা ভারী করতে পারি।