দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত
দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
আমাদের ধর্ম ইসলাম। ইসলাম ধর্মে আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, আমরা যেন আল্লাহ তাআলার ইবাদত করি। এবং তাঁর কাছে দোয়া করি। আমরা সবাই সবার মনের আশা মহান আল্লাহতালার কাছে দোয়ার মাধ্যমে চাই। আমরা মহান আল্লাহর কাছে অনেক কিছু চাই। কিন্তু আমাদের কাছে একটাই প্রশ্ন। আমরা কি মনের আশা সব কিছুই পাই।
আমরা মনে করি আমাদের দোয়া গুলো হয়তো বা মহান আল্লাহতালা কবুল করেন। আমরা এত মহান আল্লাহতালার কাছে চাই। কিন্তু আমরা কখনও সন্তুষ্টি অর্জন করি না। আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি। যদি না পাই তাহলে বলি যে মহান আল্লাহতালা আমাদের দোয়া কবুল করেন না। আসলে মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে অবশ্যই কবুল করেন।
সেগুলোর ফায়দা হয়তোবা আমরা দুনিয়াতে পাই। না হলে মহান আল্লাহতালা সেগুলোর ফাইদা আমাদের পরকালে দিয়ে দেবেন। মহান আল্লাহ-তায়ালার কাছে দোয়া কবুলের কিছু পূর্ব শর্ত রয়েছে। আমাদের আজকের আলোচনা মহান আল্লাহতালার কাছে দোয়া কবুলের শর্ত রয়েছে সেগুলো নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক আলোচনাটি।
চলুন একটি ঘটনা শুনে নেয়া যাক
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক ব্যক্তি একটি মাছির কারণে জান্নাতে যাবেন। আর এক ব্যক্তি একটি মাছির কারণে জাহান্নামে জাবেন। সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন কেন এবং কিভাবে? তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন। এক কওমের একটি মূর্তি ছিল। সেই মূর্তির আশেপাশে দিয়ে যারাই যেত তাদেরকেই ওই মুহূর্তে কে কিছু না কিছু উৎসর্গ করে দিয়ে যেতে হতো।
কারণ মূর্তি ওয়ালারাই যারা যেতো তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে ওখানে কিছু দিয়ে যাওয়ার জন্য বলতো। একদিন দুজন লোক মূর্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন মূর্তি ওয়ালারা তাদের বলেন মূর্তিকে কিছু উৎসর্গ করে দেয়ার জন্য। তখন সে বলল আমার কাছে দান করার মতো কিছু নেই। তখন মূর্তি ওয়ালারা বলল একটা মাছি হলেও দিতে হবে।
তখন সে একটি মাছি উৎসর্গ করল এবং নিজের জাহান্নামের পথ নিজেই খুলে নিল। মূর্তি ওয়ালারা অপর ব্যক্তিকে বললেন তুমি কিছু দান করো। তখন সে ব্যক্তি বলল আমি মহান আল্লাহতালা ছাড়া অন্য কারো জন্য কোন কিছু উৎসর্গ করবো না তখন মূর্তি ওয়ালারা সেই ব্যক্তির গর্দান উড়িয়ে দিলো। সেই ব্যক্তি তার জীবন দেয়ার মাধ্যমে জান্নাতের ফয়সালা করে নিলেন।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত হচ্ছে আমাদের ইখলাস। অর্থাৎ আমাদের শিরক মুক্ত ঈমান। আমরা কখনো কাউকে আল্লাহর মুখাপেক্ষী মনে করবো না। আমরা আল্লাহ তাআলার ইবাদত করব। এবং এক আল্লাহ তায়ালাকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে তার কাছে দোয়া করব। মহান আল্লাহতালা আমাদের অবশ্যই দোয়া কবুল করে নিবেন।
উপরের দুইটি ঘটনা থেকেই বলা যায় যে’ মহান আল্লাহ তাআলা কখন কার দোয়া কবুল করে নিবেন। আমরা কেউ বলতে পারব না। তবে দোয়া কবুল যেন হয় সেজন্য আমরা অবশ্যই আমাদের ঈমানকে শিরকমুক্ত রাখবো। কখনোই মহান আল্লাহ তাঁর মুখাপেক্ষী কাউকে মনে করব না।