নবীজি ৬৩বছর বাঁচবেন কোরআনে আগেই নির্ধারিত ছিল
নবীজি ৬৩বছর বাঁচবেন কোরআনে আগেই নির্ধারিত ছিল
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
মহান আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাহার ইবাদত করার জন্য কিন্তু যুগে যুগে তার সৃষ্টি বান্দারা তাকে ইবাদত করা বাদ দিয়ে অনেকদিন দেবীর পূজা করতে লাগল। তাইপান হলো তারা সেই বিপদ হয়ে যাওয়া বান্দাদের তার পথে ফিরিয়ে আনার জন্য যুগে যুগে অনেক নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন।
এসব নবী-রাসূলরা যুগে যুগে মানুষদের আল্লাহর পথে ফিরিয়ে এনেছেন আল্লাহর একাত্মতায় ফিরিয়ে এনেছেন মানুষদেরকে সব নবীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হচ্ছেন আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর উম্মত
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট থেকেই সবাইকে ইসলামের পথে দাওয়াত দিতে থাকেন। এবং তিনি ৪০বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। এবং তিনি ৬৩বছর বয়সেই পরলোকগমন করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর উপর উপর নাযিল হয়েছিল মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে ৬৩বছর বাঁচবেন।তা আল-কুরআনে নির্ধারিত ছিল। আমরা আজকে আলোচনা করব এই বিষয় নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে একটি আল কোরআনের গাণিতিক সামঞ্জস্যতা দেখাবো যা আপনাকে অবাক করে দেবে। প্রস্তুত হয়ে নিন এই ব্যাপারটা কিন্তু একটু অন্যরকম। আমরা আজকে জানবো পবিত্র আল-কোরআনের কিছু অলৌকিক মোজেজা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ৬৩বছর বেঁচে ছিলেন। ৪০বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন।
নবুয়ত প্রাপ্তির ১৩বছর তিনি মক্কায় অবস্থান করেন। এবং জীবনের শেষ দশ বছরে তিনি মদিনায় অবস্থান করেন। তার জীবনকে আমরা তিনটি ভাগে বিভক্ত করলাম। অর্থাৎ নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত ৪০বছর। নবুয়াত প্রাপ্তি পর ১৩বছর মক্কায়। এবং জীবনের শেষ দশ বছর মদিনায়। এবার আসি অলৌকিক ব্যাপারে।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মৃত্যু সম্পর্কে যেসব সূরায় বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ তা’আলা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মৃত্যু সম্পর্কে যেসব সুরায় বলেছেন সেসব সূরা হলো আল-কুরআনের ৪০নং সূরা। আল-কুরআনের ১০নং সূরা। ও আল-কুরআনের ১৩নং সূরা। সূরা গুলোর নাম্বার যদি আপনি যোগ করেন।
তাহলে যোগফল হবে ৬৩। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মৃত্যুর সংখ্যা। মহান আল্লাহতালা নবী করীম সাল্লাল্লাহু সালামের মৃত্যুর ১৫ বছর আগেই বলে দিয়েছেন। আল কুরআনের সূরার মাধ্যমে।
তাহলে একবার ভেবে দেখুন এত সুন্দর গাণিতিক সামঞ্জস্যতা রেখে এত বড় একটি কিতাব মহানবীর সাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম এর উপর নাযিল করেছেন। আমাদের সৃষ্টিকর্তা একমাত্র মহান আল্লাহ্ তা’আলা। আল-কোরআন হলো সমস্ত সমস্যার সমাধানের একটি উৎস। এমন কিছু নেই যে যার সমাধান আল-কোরআনে পাওয়া যাবেনা।
বর্তমানে বৈজ্ঞানিক ধারণা থেকে শুরু করে চিকিৎসাবিজ্ঞান সামাজিক শান্তির বাণী। সবকিছু আল কুরআনে মহান আল্লাহ তালা দিয়ে দিয়েছেন। আল কোরআন হচ্ছে পৃথিবীর শান্তির উৎস।