নারীদের নিয়ে ইসলামী কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী
নারীদের নিয়ে ইসলামী কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
দুনিয়াতে মহান আল্লাহতালা প্রতিটি জীবের এই জোড়া সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ সৃষ্টিশীল প্রতিদিন তার জোড়ায় জোড়ায় পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে তার মধ্যে এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাত। মহান আল্লাহতালা আশরাফুল মাখলুকাত বলেছেন অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ জাতির মধ্যে একটি হচ্ছে পুরুষ জাতি। জাতি মূল্যবান প্রেমী নারী জাতি মূল্যবান গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামের নারী ও পুরুষ জাতিকে সমানভাবে দেখা হয়েছে। আমাদের আজকের আলোচনার নারী জাতিকে নিয়ে অর্থাৎ ইসলামে নারী জাতি দের নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাণী সম্পর্কে চলুন শুরু করা যাক, আমার আজকের আলোচনাটি।
১. নারী যখন জন্মায়
কারো ঘরে যদি প্রথম সন্তান জন্ম হয় অর্থাৎ সেই জন্মদান কৃতিসন্তান টি যদি নারী হয় তাহলে ইসলাম বলেছেন সেই ঘরে প্রথম কন্যা সন্তান আসলো সেই ঘরে যেন আল্লাহর বরকত ফিরে পেল।
২. নারী যখন বিবাহিত
বিবাহিত নারী বিবাহ একটি ফরজ কাজ প্রতিটি পুরুষ এবং নারীর জন্য প্রতিটি পুরুষের একটি নারীর সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয়। আর সেই পুরুষটির তখনই উত্তম হয় যখন সে তার বিবাহিত স্ত্রীর কাছে উত্তম।
৩. নারী যখন গর্ভবতী
এই দুনিয়াতে প্রতিটি মানুষ সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহতালা কিন্তু দুনিয়াতে আসার মাধ্যম হচ্ছে নারী। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ একজন নারীর পেট থেকে বের হয় তাই একজন নারীর অনেক কষ্ট হয় গর্ভাবস্থায়।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা প্রসবের সময় এতটাই কষ্ট হয় যে কোনো কোনো নারী এতে মারা যায়। তাই বলা হয়েছে ইসলামে যে, গর্ভ অবস্থায় কোন নারী যদি মারা যায় তাহলে তার মৃত্যু শহীদি মৃত্যু হয় হয়।
৪. নারী যখন মা
ইসলামের একজন নারীর মর্যাদা এতটাই দেয়া হয়েছে যে বলা হয়েছে যে, কোন সন্তানের বেহেশত ও তার মায়ের পদতলে অর্থাৎ প্রতিটি নারী তো একদিন না একদিন মা হবে আর যে সন্তান প্রসব করবে সেই সন্তানের বেহেশত মায়ের পদতলে।
ইসলামে নারীর মর্যাদা অত্যন্ত বেশি কারণ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আসার পূর্বে দুনিয়ার অবস্থা অত্যন্ত করুণ ছিল। নারীদের দুচোখে দেখা যেত না নারীদের শুধু ভোগের বস্তু হিসেবে গণ্য করা হতো।
নারীদের অত্যন্ত কষ্ট দেয়া হতো এবং যে পরিবারের নারী সন্তান জন্ম দিতে তাকে কবর দেয়া হতো। কিন্তু মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ইসলাম প্রচার করেছেন এবং সবাইকে বুঝিয়েছেন যে,
নারী জাতি মহান আল্লাহতালার অ্যাক্টিভ বরকতময় সৃষ্টি। তাই নারীদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে হবে। কারণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন নারীদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে।