মুসলমান হলে সন্তানকে যে বাক্য গুলো কখনোই বলা যাবে না
মুসলমান হলে সন্তানকে যে বাক্য গুলো কখনোই বলা যাবে না
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠকবৃন্দ আমরা মুসলমান। মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। আমরা হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উম্মত। আমাদের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা নানা সময়ে নানা কথা বলে থাকি।
নানা বাক্য প্রয়োগ করে থাকি। এর মধ্যে কিছু কিছু সন্তানের মঙ্গল বয়ে আনে। আবার কিছু কিছু কথা বললে সন্তানরা বিপথে যেতে পারে। আমাদের সবারই উচিত আমাদের সেই সব কথা বলা যেসব কথা বললে সন্তানদের মঙ্গল বয়ে আনবে।
প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদের কয়েকটি বাক্য বলব। যেগুলো আপনারা আপনাদের সন্তানদের নিয়মিত বলে থাকেন। কিন্তু এগুলো সন্তানদের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর হবে আপনারা বুঝতে পারেন না। এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাদের এইসব বাক্যের ভয়ংকর দিক সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
চলুন শুরু করা যাক আলোচনা
১. খেয়াল রাখা
অনেক সময় অনেক পিতা-মাতা তাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে তাদের সন্তানকে বলে। দেখো আমরা তোমাদের কত খেয়াল রাখি। কত যত্ন করি। কিন্তু আশেপাশে কেউ কি তাদের সন্তানদের এত যত্ন করে। কিন্তু এই কথা বললে কোন সন্তান মনে করে যে। তার বাবা মা তাকে যত্ন করার খোটা দিচ্ছে।
যা আপনার সন্তানকে হিতে-বিপরীত করতে পারে। আপনার প্রতি বিমুখ করতে পারে। তাই এই কথা বলা যাবেনা কোন সন্তানকেই।
২. একই বয়সে সন্তানের সঙ্গে নিজের তুলনা
অনেক সময় অনেক পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে সন্তানদের বিভিন্ন কাজের খোটা দিয়ে বলেন। তুমি কি করো আমি তোমার এই বয়সে এটা করতাম। ওটা করতাম। আমি অনেক ভালো ভালো কাজ করতাম।
আমার অনেক অর্জন আছে। আমি এখানে ভালো কাজ করছি। ঐখানে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে। তুমি কি করছ। এইসব কথা বলে সন্তানরা বিগড়ে যেতে পারে। তাই সন্তানদের এসব কথা বলা যাবে না।
৩. ভালো রেজাল্ট করলে না কেন
অনেক সময় তাদের পিতামাতা তাদের সন্তানকে রেজাল্ট এর কোটা দিয়ে থাকে। যদি তার সন্তান ভালো রেজাল্ট না করে। আর পাশের বাড়ির কোন সন্তান ভালো রেজাল্ট করে। তাহলে তার সঙ্গে তার তুলনা দিয়ে তাকে ছোট করে থাকে। এতে সে নিজে হীনমন্যতায় ভোগে এবং বিগড়ে যেতে পারে।
৪. নিজের কর্তৃত্ব দেখানো
অনেক সময়ে পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে বলে থাকেন। যে তুমি আমার বাড়িতে থেকে তোমার মত করে চলতে পারবে না। আমার বাড়িতে থাকতে হলে তুমি আমার কথা শুনতে হবে।
তোমাকে না হলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। এসব কথা সন্তানদেরকে বিগরে দেয়। যাতে সন্তানরা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. ধমক দিয়ে কথা বলা
পিতা-মাতারা তাদের সন্তানকে সবসময় যেন কতৃত্ব খাটানোর চেষ্টা করে। ধমক দিয়ে কথা বলে। ধমক দিয়ে কথা বলা যাবেনা। ধমক দিয়ে কথা বললে ছেলেটা হীনমন্যতায় ভুগে খারাপ হয়ে যেতে পারে।
প্রত্যেক পিতা-মাতা উচিত তাদের সন্তানকে ভালোভাবে শিক্ষা দিতে। কিন্তু সন্তানদের শিক্ষা দিতে গিয়ে যদি সন্তানরা খারাপ হয়ে গেল। তাহলে এই শিক্ষার কি দাম থাকলো। অতএব সন্তানদের শিক্ষা দিতে হবে আদরের সহিত।