যে অ্যাপটি ব্যবহার করলে আপনার হাশর হবে শয়তানের সাথে
যে অ্যাপটি ব্যবহার করলে আপনার হাশর হবে শয়তানের সাথে
আসসালামুআলাইকু। সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আজকে আমরা জানব যে অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনার হাশর হবে শয়তানের সঙ্গে।
Sponsored
পবিত্র কুরআনুল কারীমের সূরা আরাফে, শয়তান মহান আল্লাহ তায়ালাকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালাকে শয়তান এই চ্যালেঞ্জ দিয়েছে যে আল্লাহ তোমার সৃষ্টি এই মানুষ। কিন্তু এই মানুষকে আদেশ দিব আমি। যেন মানুষ নিজেই আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করে।
আমরা সবাই আল্লাহর সৃষ্টি। আজ আমরা নিজেদের ছবিগুলো এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কার্টুন বানাচ্ছি। আজ আপনি আমি যে নিজেদের ছবিটি কে এডিট করে কার্টুন বানিয়ে পুতুল বানিয়ে মানুষকে দেখাচ্ছি। এটাতে কি আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে দেখানো হয় নাই?
এটাতে আল্লাহ সৃষ্টিতে বিকৃত করা হলো। শয়তান আল্লাহকে চ্যালেন দিয়েছিল যে শয়তান মানুষকে আদেশ দিবেন। আর আমরা সেই শয়তানের আদেশ অনুযায়ী নিজেদের আল্লাহর দেয়া চেহারা পরিবর্তন করে কার্টুন পুতুলের রূপ দিয়েছি। এবং সেগুলো জনসম্মুখে অথবা মানুষকে দেখাচ্ছি।
এখনও কিন্তু আল্লাহর গোলাম এই সাচ্চা মুসলিম মানুষগুলো না জেনে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে নিজেদের চেহারা মুবারক পরিবর্তন করে মানুষকে দেখাচ্ছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ শয়তানের আদেশ। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি নতুন ফিচার এসেছে যেটার নাম এভাটার।
যুবকেরা এই সফটওয়্যার টির কাজ সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। এবং অনেকেই এই ফেসবুকের ফিচারটি ব্যবহার করেছেন। যুবক যুবতীরা এই ফিচারটি ব্যবহার করে নিজের চেহারা পরিবর্তন করে কার্টুন পুতুলের রূপ দিতে পারে যা সম্পূর্ণ শয়তানের আদেশেই পূর্ণরূপ।
ফিচারটি এমন যে আপনি একটা ক্লিক করলেই আপনি আপনার চেহারা মোবারক এর কার্টুনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন। আপনি আপনার কার্টুন প্রতিচ্ছবি টা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করতে পারবেন। এইভাবে অনেক যুবক যুবতীরা নিজের সুন্দর চেহারা মোবারক অ্যাভাটার সফটওয়্যার এ ক্লিক করে পরিবর্তন করে মানুষকে দেখাচ্ছে।
যার ফলে তারা শয়তানের আদেশ মানতেছে। অ্যাভাটারের ক্লিক করলে সে নিজেকে কার্টুন হিসেবে দেখতে পায়। এবং এই কার্টুন সে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দেয়। যুবক-যুবতী এটা না জেনে করতেছে। কিন্তু এইটা কি আদৌ করা জায়েজ কিনা?
এটা কি আমাদের ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা? এ ব্যাপারে আদৌ আমরা জানার চেষ্টা করি না।আমরা শুধু সাময়িক আনন্দের জন্য এত বড় অন্যায় নাজায়েজ কাজ করতেছি। আল্লাহ আপনাকে এত সুন্দর চেহারা দিয়েছেন। আপনি কি এই চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট নন? তাহলে কেন আপনি কার্টুনের মত নিজের চেহারা বানিয়ে দেখছেন।
যে কেমন লাগে আপনাকে কার্টুনের মত দেখতে? মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা ত্বীন এ বলেছেন” লাকাদ খালাকনাল ইনছানা ফীয়াহছানি তাকবীম” এর অর্থ হচ্ছে নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সুন্দর চেহারা মোবারক দান করেছেন।
তবুও আমরা শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে শয়তানের আদেশ অনুসরণ করতেছি। যার ফলে আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর নারাজ হয়ে আমাদের হাশরের ময়দানে শয়তানের সঙ্গে একই কাতারে রাখবেন।
অতএব আমাদের উচিত মহান আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ চেয়ে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা