যে দোয়া পড়লে পাহাড় সমান ঋণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে
যে দোয়া পড়লে পাহাড় সমান ঋণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতদের অনেক ভালোবাসতেন। তিনি তার উম্মতদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য তিনি বিভিন্ন আমলের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিটা সমস্যা সমাধানে তিনি আলাদা আলাদা আমল করার জন্য আলাদা আলাদা আমাদের আমল শিখিয়েছেন।
তেমনি ভাবে তিনি উম্মতের মধ্যে যাদের ঋণের বোঝা রয়েছে। তা লাঘবের জন্য অর্থাৎ ঋণ থেকে মুক্তির জন্য যে আমল করতে হবে তা তিনি শিখিয়ে গেছেন। যে দোয়া গুলো তিনি শিখিয়ে গেছেন। সেই সব দোয়ার মধ্য থেকে কয়েকটি দোয়া নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব।চলুন জেনে নিন সেই দোয়া গুলো।
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত -একবার আমার বাবা হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু তিনি এসে বলেন; “আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আমাকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া শিখিয়ে গেছেন।” মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন।
“এই দোয়াটি হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম আলাইহিস সাল্লাম তার সঙ্গীদের অর্থাৎ তাঁর সাহাবাদের শিক্ষা দিয়েছেন।” যদি এই দোয়াটি পাঠ করে তাহলে মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর ঋণের বোঝা মাফ করে দেবেন।
দোয়াটি হলোঃ
আল্লাহুম্মা ফারিজাল হাম্ম, ওয়া কাসিফাল পাম্ম,ওয়া মুজিবা দাওয়াতিল মুযতাররিন,রাহমা নাদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ ওয়া রাহিমাহুমা,আনতা তারহামুনি ফারহামনি বিরাহমাতিন তুগনিনি বিহা আন রাহমাতি মিন ছিওয়াক।
দোয়াটির অর্থঃ
হে আল্লাহ আপনি পেরেশানী দূর করার মালিক, যত চিন্তা আছে সব চিন্তা লাঘব কারি। যারা দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সে সকল মানুষের দাওয়াত ও আহবানে সাড়া দানকারী। হে মাবুদ দুনিয়া এবং আখিরাতে আপনি মহান। উভয় জগতে আপনি রাহিম আপনি আমাদের দয়া করেন।
সুতরাং আপনি আমাকে এমন অনুগ্রহ দ্বারা দয়া করেন। আপনি আমাকে অন্য কারো অনুগ্রহ থেকে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী করে দিন। আমার চাহিদা পূরণ করে দিন।
এই দোয়াটি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার সাহাবী আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তালা কে শিক্ষা দিয়েছিলেন। এবং বলেছিলেন ;”হে আবু বকর এই দোয়াটি আমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য উপহার”।
হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা তাঁর সন্তান হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা কে এই দোয়াটি শিক্ষা দিয়েছেন। এবং বলেছেন;” যে এই দোয়াটি পাঠ করে আমল করার পর আল্লাহ তায়ালা আমার ঋণ মাফ করে দিয়েছেন এর প্রমাণ আমি পেয়েছি।”
উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে, আল্লাহতালা আমাদের সকল বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমল কোরআন হাদিসে বর্ণনা করেছেন। আমরা সেই অনুযায়ী আমল করি তাহলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন।