সবর বা ধৈর্যের গুরুত্ব
সবর বা ধৈর্যের গুরুত্ব
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Sponsored
সবর শব্দের অর্থ ধৈর্য। সবর একটি আরবি শব্দ। ধৈর্য্য একটি মহৎ গুণ। মহান আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন একজন মুসলমান হিসেবে। আমরা শুধু নামে মুসলমান। কাজে মুসলমান নই। কারণ একজন মুসলমান হতে হলে অর্থাৎ একজন আদর্শ মুসলমানও অনেক কিছু দায়িত্ব থাকে যা আমাদের অনেকের মাঝে নেই।
আপনাদের অনেক কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে একজন আদর্শ মুসলমানের মধ্যে যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত আমাদের মাঝে সব বৈশিষ্ট্য নেই। তাই আমরা একজন আদর্শ মুসলিম হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারি না।
একজন আদর্শ মুসলমানও বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে থাকা দরকার। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ধৈর্য। একটি আদর্শ মুসলমান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারি না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের মাঝে মুসলমান হওয়ার জন্য সমস্ত গুণাবলী রয়েছে। ধৈর্য্য একটি মহৎ গুন। যা সবার মাঝে থাকেনা।
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ধৈর্য এর গুরুত্ব নিয়ে। ধৈর্য ধরে সেই কি কি ফল পেতে পারে। আর যে ব্যক্তি ধৈর্যশীল নয় সেটি কি ফল পেতে পারে। চলুন আজকের আলোচনাটি শুরু করা যাক।
কথায় আছে সবুরে মেওয়া ফলে। অর্থাৎ যে ধৈর্য ধরল সে যেন অনেক কিছুই পেল। সে যেন তার উৎকৃষ্ট ফলটি পেল। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারব। আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তিনি আমাদের পরীক্ষা নেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে।
তিনি আমাদের মাঝে মাঝে এমন কিছু পরীক্ষা নেন। যেখানে আমাদের খারাপ হয়ে থাকে। সাময়িকভাবে কিন্তু আমরা সেগুলো যদি খারাপ ভেবে থাকি। তাহলে মহান আল্লাহতালার পরীক্ষায় পাশ করতে পারি না। কারণ আমাদের সমাজে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা যদি আমরা ধৈর্য হারিয়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে খারাপ সময়টা মোকাবেলা করে থাকি।
তাহলে অবশ্যই আমরা আমাদের সফলতা অর্জন করব। আর যদি আমরা সেই খারাপ সময়ে মহান আল্লাহ তালাকে অনেক দোষারোপ করি। এবং যে মহান আল্লাহতালা আমার সাথে কেমন কেন এমন করল। আল্লাহ তাআলা আমার এত বড় ক্ষতি কেন করল। এই ভাবে যদি আল্লাহর পথ থেকে বিপথে চলে আসে। তাহলে আমরা সেই পরীক্ষায় পাস করতে পারিনা।
তাই মহান আল্লাহতালা আমাদের উপহার সন্তুষ্ট হন না। মহান আল্লাহতালা আমাদের যত পরীক্ষা নিয়ে নেবে। তবু আমরা মহান আল্লাহতালার উপর বিশ্বাস রাখব। কখনো মহান আল্লাহতালার উপর বিশ্বাস হারানো যাবেনা।
কারণ মহান আল্লাহ আমাদের নানা সময়ে নানা ধরনের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন এসব পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি আমাদের ঈমানী পরীক্ষা করে থাকেন। আর আমরা সেই সব সময় ঈমানের পরীক্ষা ছিল।
তার পরিচয় দিয়ে থাকি তাহলে মহান আল্লাহ আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন এবং আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করে দেবে না। আর যদি আমরা অন্যের উপর সন্তুষ্ট না হয়ে থাকে। নানা দোষারোপ করে থাকি তাহলে মহান আল্লাহতালার উপর।
আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে।তাহলে আল্লাহতায়ালা আমাদের জীবন অনেক সুন্দরময় করে দেবেন।