হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কয়েকটি বাণী
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কয়েকটি বাণী
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
মহান আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। যুগে যুগে মানুষ মহান আল্লাহতালা কে ভুলে বিভিন্ন উপসর্গ পূজা করত। তাই মহান আল্লাহতালা। আবার মানুষদের তার পথে ফিরিয়ে আনার জন্য যুগে যুগে অনেক নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। এদের মধ্যে একজন রয়েছেন। তিনি নবী রাসূলদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।
তিনি হচ্ছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম। আমরা তার উম্মত। জাহেলিয়া যুগে মানুষরা পথভ্রষ্ট হয়ে মহান আল্লাহতালা কে ভুলে গিয়ে বিভিন্ন দেব দেবীর পূজা করত। ঠিক সেই সময়ে মহান আল্লাহতালা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ইসলামকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। মানুষদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য।
মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বিভিন্ন কষ্ট সহ্য করে মানুষদের ইসলামের পথে দাওয়াত দিয়েছেন। এবং বুঝিয়েছেন ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। তিনি তার জীবনে মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করে গেছেন। মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিনি রেখে গেছেন যে সব বানী। যা শুনে অনেক বিধর্মী যারা আছে। তারা মহান আল্লাহতালার পথে এসেছেন।
-Advertisements-
তাঁর বাণী শুনে অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এবং আল্লাহ তালার আনুগত্য করেছেন। কিছু কিছু নামমাত্র মুসলমান রয়েছে। যারা নামে মুসলমান এমন কিছু মুসলমান আছে যারা শুধু নামে মুসলমান। কিন্তু ধর্মের কোন কিছু পালন করেন না তারাও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ইসলামের বাণীতে অনেক পরিবর্তন হয়ে ইসলামের পথে এসেছেন।
আমাদের আজকের আলোচনার সেই সব কয়েকটি বাণী নিয়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এর কয়েকটি বাণী।
১. রাতে ঘন্টাখানেক জ্ঞানচর্চা সারারাত ইবাদত করা থেকে উত্তম।
২. সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে, নিজের পেট পুরে খাই কিন্তু প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে।
-Advertisements-
৩. প্রতিটি শুনা কথা বলে বেড়ানোই মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৪. তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তাদের স্ত্রীর কাছে উত্তম।
৫. কোন গীবতকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
৬. যে মানুষের প্রতি দয়া করে না আল্লাহ তার প্রতি দয়া করে না।
৭. তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করে।
৮. সে ব্যক্তি শক্তিশালী নয় যে কুস্তিতে অন্য কাউকে পরাজিত করে। বরং সেই শক্তিশালী যে রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে।
৯. যার অন্তরে সরিষা পরিমাণ অহংকার আছে। সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
আমরা যদি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সমস্ত বাণী শুনে এবং সেই অনুপাতে নিজে চলতে পারি। অবশ্যই আমরা একজন পরিপূর্ণ ঈমানদার মুসলিম হতে পারব। এবং মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করতে পারব।
Advertisements