হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ষমা-প্রদর্শন নিয়ে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ষমা-প্রদর্শন নিয়ে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। মহত্ গুণের সবার মাঝে থাকে না অনেকেই হয়ে যায়। অনেক হিংসাপরায়ণ। অর্থাৎ কেউ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে সে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে। অর্থাৎ তার জবাব দেবে কিন্তু মহান আল্লাহতালার একটি অন্যতম গুণ হলো ক্ষমা মহান আল্লাহতালা নিজে সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

এবং যিনি ক্ষমা করে দেন মানুষকে আল্লাহ তাআলা অনেক ভালোবাসেন বলেছেন। তোমরা মানুষকে ক্ষমা করতে করতে শেখো আমরা যদি কোন পাপ করে থাকি। তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের শাস্তি দেন না আমাদের আগে শুধরানোর সুযোগ দেন।

তারপর আমরা যদি আল্লাহতালার দরবারে নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করি তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের দোয়া কবুল করে নিয়ে আমাদের মাফ করে দেন।

সে জন্য ক্ষমা করে দেওয়া একটি মহৎ গুণ। আমরা সবাই ক্ষমা করে দেওয়ার মন মানসিকতা নিয়ে থাকবো সবসময়। আজকে আমরা একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা শুনবো।

-Advertisements-

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া শুরু করলেন। তখন তার আশেপাশের অনেক শত্রু হয়ে গেল তার শত্রুর পরিমাণ এতটা বেশি হয়ে গেল জেনিরে নিজের বাড়ির সামনেই শত্রু ছিল।

তার শত্রু ছিল তিনি প্রতিদিন যখন নামাজ পড়তে যেতেন তাহলে যে পথ দেখতেন যে তার পথে খেজুর কাঁটা বিছানো। তার হাঁটতে অনেক সমস্যা হতো। তার পথে অনেক মলমূত্র ছিল যা কিনা একটি বুড়ি মহিলা রেখে যেত প্রতিদিন। এভাবে মহানবী সাল্লাম এগুলো দেখতে আর পথ থেকে সরিয়ে।

তিনি নামাজে যেতেন কিন্তু কোনদিন তিনি মহিলাটিকে কিছু বলেননি। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে দেখলেন যে পথে কোন খেজুরের কাঁটা নেই। তাই তিনি ভাবলেন বুড়ির কি হয়েছে যে আজকে আমার পথে কোন খেজুর কাটা রাখল না।

তাই হযরত মোহাম্মদ সালাহ বুড়ির বাড়িতে গেলেন এবং গিয়ে দেখলেন বুড়ি অনেক অসুস্থ তাকে অনেক সেবা-যত্ন করলেন। এবং উনাকে সুস্থ করে তুললেন।

আমাদের আজকের সমাজে যদি কেউ এমন করে কারো সাথে তাহলে কেউ কখনো কাউকে ক্ষমা করে দেবে না। অর্থাৎ সবাই সবার প্রতিশোধ নিতেই ব্যস্ত। এজন্যই আমাদের দুনিয়াতে এত বিশৃঙ্খলা। আমরা যদি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর পথ অনুসরণ করে।

মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা নিয়ে বড় হয়ে থাকতাম। তাহলে অবশ্যই আমরা মানুষকে ক্ষমা করে দিলাম। আর ক্ষমা করে দিলে অবশ্যই সমাজের মধ্যে বিশৃংখলা। আর কখনো পারবে না তাই আমাদের সকলের উচিত ক্ষমা করে দেওয়ার মন মানসিকতা সৃষ্টি করা।

Advertisements

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More