আদর্শবান মানুষের কয়েকটি গুণ

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

দুনিয়াতে বিভিন্ন রকমের মানুষ রয়েছে। কেউ সৎ কেউ বা অসৎ কিন্তু মহান আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। ভালো কাজের জন্য অর্থাৎ সৎ মানুষ হয়ে জীবন যাপন করার জন্য। কিন্তু আমরা দুনিয়ায় দুনিয়ায় লাভের আশায় সদ্ভাবে জীবন-যাপন করিনা।

আমরা দুনিয়াতে দুনিয়াতে ভালো জীবন যাপনের জন্য যেমন তেমন ভাবে জীবন যাপন করছে। অর্থাৎ অসদুপায় জীবনযাপন করছে কিন্তু আমরা যদি দুনিয়াতে অসৎ ভাবে জীবন যাপন করি। তাহলে পরকালে মহান আল্লাহতালা আমাদের উপর নারাজ হবেন আর যদি দুনিয়াতে সদ্ভাবে জীবন-যাপন করে।

তারপর আমাদের উপর খুশি হবেন আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় একজন আদর্শবান মানুষ হতে হলে কি কি গুন থাকা উচিত।

অর্থাৎ সহজ-সরল ভাবে জীবন যাপন করলেও করার জন্য কয়টি গুণ থাকা অত্যবশ্যকীয় আলোচনা করব।

সেই কয়েকটি গুণ নিয়ে চলুন শুরু করা যাক আলোচনাটি

১. সত্যবাদিতা

সর্বপ্রথম আপনাকে সৎ হতে হবে অর্থাৎ সদা সত্য কথা বলতে হবে আমরা যে কোন পরিস্থিতি পড়িনা কেন। সত্য কথা বলব আমরা মাঝে মাঝে এমন কিছু পরিস্থিতিতে পড়ে যেখানে মিথ্যা বলা লাগে কিন্তু আসলেই সাময়িকভাবে সেখানে মিথ্যা দিয়ে মুক্তি পেলেও। আসলেই আমরা সেখান থেকে মুক্তি পায় না আর আমরা যদি সত্য কথা বলি।

সাময়িকভাবে বিপদ আসলেও আমরা মহান আল্লাহকে অর্জন করতে পারব। কিন্তু আমরা সামরিক মুক্তির জন্য অনেক বড় ধরনের মিথ্যা কথা বলে থাকি। আসলে মিথ্যা কথা বলা যাবেনা আদর্শবান মানুষের প্রথম ঘণ্টায় থাকা উচিত সত্যবাদি হওয়া।

২. ন্যায় পরায়ণতা

একজন আদর্শবান মানুষ এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ন্যায় পরায়নতা। এমন একটি গুণ যে আপনাকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে আমরা অনেক সময় ভুলের বশে হোকাবা ইচ্ছে করেই হোক নানা রকম অন্যায় কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে। যে আমরা নিজের স্বার্থের দিকে দেখে বিভিন্ন ধরনের অন্যায় কাজ করে থাকে।

এই সব অন্যায় কাজ অন্যের স্বার্থে অন্যের ক্ষতি করে তা কিন্তু আমরা ভেবে দেখি না শুধু নিজের স্বার্থের কথা ভেবে আমরা এসব অন্যায় করে থাকি। কিন্তু আমাদের সবসময় ন্যায়ের পথে থাকতে হবে না এর পথে থাকলে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে আর একজন আদর্শ মানুষের অন্যতম গুণ হলো পরায়নতা।

৩. ইবাদতে মগ্ন

আমাদের দুনিয়াতে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য.।অর্থাৎ তিনি আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তার ইবাদত করার জন্য আমরা যদি একজন আদর্শবান ব্যক্তি হতে চায় তাহলে অবশ্যই তাঁর ইবাদত করতে হবে।

আমাদের মাঝে যদি আদর্শ বিচারক গুলো গুনাগুন থেকেও যায় তবু যদি আমরা মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত না করে তাহলে মহান আল্লাহতালা পরকালে আমাদের জানাবেন না। তাই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমাদের অবশ্যই অবশ্যই এবাদত করতে হবে।