আশুরায় যে দোয়াটি একবার পড়লে জীবনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন- যদি পবিত্র রমজান মাসের পর আর কোন মাসে রোজা রাখতে চাও তবে তোমরা রোজা রাখো মহররম মাসে। কারণ মুহাররম মাস হল আল্লাহ তাআলার মাস। এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যে দিনটিতে মহান আল্লাহতায়ালা অনেকেরই তওবা কবুল করে নেন।

এবং ভবিষ্যতে আরও অনেকেরই তওবা কবুল করে নিবেন মহান আল্লাহ তা’আলা। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদীসে তার উম্মতের জন্য অনেক সুসংবাদ দিয়েছেন। এত সুস্পষ্টভাবে তিনি সুসংবাদটি দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে তার যত উন্মত থাকবেন মনে হয় আর কোন হাদিসে এত সুস্পষ্টভাবে দেয়া হয়নি।

হাদীসটি হল -মহররম মাসের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, মহরম মাসের নির্দিষ্ট দিনে যে ব্যক্তি আল্লাহর দরবারে হাত তুলবে। মহান আল্লাহতায়ালা অবশ্যই তার দোয়া কবুল করবেন। এবং গুনাহ মাফ করে দেবেন। তওবার জন্য সবথেকে উত্তম উপায় হল কুরআন-হাদিসে তওবা বিষয়ক যে দোয়া গুলো রয়েছে সেগুলো বুঝেশুনে পাঠ করা। দোয়া গুলোর মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন।

মুহাররমের আশুরার দিনে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে। এবং দিনভর মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে তওবা পাঠ করতে হবে। আর এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে- “আললাহুমমা আদখিলহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানী ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামী ওয়া রিদওয়ানিম মিনার রহমানি ওয়া ঝাওয়ারিম মিনাশ সায়ত্বনি”।

এই দোয়ার পাশাপাশি আমরা বলতে পারি আস্তাগফিরুল্লাহ ;আরও বলতে পারি রব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসেরীন।এর অর্থ হলো হে আল্লাহ আমরা নিজেদের উপর যুলুম করেছি অন্যায় করেছি। আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করে দেন তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। পৃথিবীতে তওবাতুন নাসুহার জন্য এই দোয়াটি সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া।

আমরা দোয়া গুলো বেশি বেশি করে পরবো। এছাড়াও মনের মাধুরী মিশিয়ে যত চাওয়া আছে; সব মহান আল্লাহতালার কাছে চাইবো মহান আল্লাহতালার এই দিনে আমাদের দোয়া কবুল করবেন। এবং আমাদের চাওয়া গুলো তিনি পাওয়াতে পরিণত করবেন। এই দিনটির মহত্ব ও গুরুত্ব অনুভব করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি করে চাইবো মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সমস্ত আশা পূরণ করবেন ইনশাল্লাহ।