ইসলামে মেহমানদারীর আদব সমূহ

ইসলামে মেহমানদারীর আদব সমূহ

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন “আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। “অর্থাৎ যারা আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না। যারা আত্মীয়কে সবসময় ইগনোর করে চলে। তারা কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না। আমাদের মহান আল্লাহ তালা সৃষ্টি করেছেন হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম থেকে।

একজন পুরুষ ও একজন মহিলা মানুষ থেকে গোটা মানবজাতির সৃষ্টি। তাহলে একবার ভেবে দেখুন তো। আমাদের মাঝে সম্পর্কটা কি? আমাদের মাঝে সবার সাথে সবার একটা সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই সম্পর্কটা হল আত্মার রক্তের। প্রতিটি মানুষ মানুষের আত্মীয়। আমাদের উচিত প্রতিটা মানুষ যে কিনা আমাদের বাসায় আসবে। সামনে দেখা হবে সেই আমাদের মেহমান মনে করা।

আর মেহমানদের সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। তাদের সেবা যত্ন করা।তারা যদি আমাদের  শত্রু হয়। তবুও সেই মেহমানের সেবা যত্ন করতে হবে। অনেক সুন্দর ভাবে সেবা-যত্ন ও কিছু দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। আমাদের আজকের আলোচনার সমূহ নিয়ে চলুন শুরু করা যাক আলোচনাটি।

মেহমান যারা আমাদের বাসায় আসবে তাদের করণীয়

-Advertisements-

যার বাসায় আমরা মেহমান হিসেবে এঁসেছি। সে আমাদের থেকে গরীব বা ধনী হোক। তাকে যথেষ্ট পরিমাণে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। আমরা মেহমান যদি ধনী হয়ে থাকে যে। আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন। তার বাড়িতে আমরা মেহমান হিসেবে এগিয়েছি।

তাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্মান করতে হবে। সে যদি গরিব হয় আমাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মেহমানদারি করতে না পারে। তবুও তাকে সম্মান করতে হবে তার চেষ্টাকে। অনেক সময় আমরা যার বাসায় মেহমান হিসেবে চাই। তাকে খারাপ অবস্থায় ফেলার জন্য অনেক লোকজন নিয়ে যাই।

আবার বেশি দিন থাকার চেষ্টা করি। অবশ্যই আমাদের উচিত না তাদের লজ্জাস্কর পরিস্থিতিতে ফেলার। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ লোকজন যাব। এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক দু-তিনদিন থেকে চলে আসবো। তাহলে তাদের সেবা করতে সমস্যা হবে না।

মেহমানদের প্রতি আমাদের করণীয়

আমাদের বাসায় যদি মেহমান আসে। তাদের প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তাদের কখনো কটু কথা বলা যাবে না। তারা যতজন আসুক আমরা আমাদের পর্যাপ্তভাবে তাদের ভালোভাবে থাকার ব্যবস্থা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবো। তাদের সঙ্গে  হাসিমুখে কথা বলব এবং সম্মান দেয়ার চেষ্টা করব।

এভাবে যদি আমরা মেহমানদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখে। এবং মেহমানরা যদি আমাদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখে। তবে আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক গুলো আরো গভীর হবে।মহান আল্লাহতালা আমাদের প্রতি খুশি হবেন সন্তুষ্ট হবেন। এবং আমাদের এইসব কাজের জন্য অনেক সওয়াব দান করবেন।

Advertisements

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More