ঈদের দিন কোরবানির মাংস না খেলে কি ক্ষতি হয়

ঈদের দিন কোরবানির মাংস না খেলে কি ক্ষতি হয়?

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

মহান আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন মুসলমান হিসেবে। আমরা মুসলমান। আমরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর উম্মত। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমরা একমাত্র আল্লাহর দরবারে ইবাদত করি। আল্লাহ এক অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নেই।

মহান আল্লাহতালা মুসলমানদের জন্য দুইটি উৎসবের কথা বলেছেন। একটি হল ঈদুল ফিতর আরেকটি ঈদুল আযহা।

ঈদুল ফিতর

ঈদুল ফিতর হচ্ছে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর ঈদ পালন করি। আমরা এই ঈদে আমরা মিষ্টান্ন খাবার খাই।

ঈদুল আযহা

ঈদুল আযহা হচ্ছে ঈদুল ফিতরের প্রায় দু’মাস পর পালিত হয়। ঈদুল আজহায় কোরবানি দিয়ে থাকি। আমরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকি ঈদুল আযহা। সেই কোরবানির মাংস কয় ভাগ করতে হয় প্রতিবেশীকে আত্মীয়স্বজনকে দিতে হয়। এবং নিজের পরিবারের জন্য রাখতে হয়।

-Advertisements-

আমরা আজকে আলোচনা করব ঈদুল আজহায় কোরবানির মাংস যদি আমরা নিজেরা না খায়। তাহলে কি ক্ষতি হতে পারে।

চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনা

কোরবানির দিন অর্থাৎ ঈদুল আযহার দিন আমরা সাধারণত পশু কোরবানি দিয়ে থাকি। আমরা যেসব পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। সেগুলো পশু অবশ্যই সুস্থ ও ভালো থাকতে হবে। অনেকেই ঈদ উপলক্ষে আমরা কোন অসুস্থ পশু রেখে দেই। রোগা পশুকে কোরবানি দেয়া যাবে না।

অবশ্যই মহান আল্লাহতালার দরবারে সুস্থ-সবল পশুকে কোরবানি দিতে হবে। কারণ মহান আল্লাহ তালা বলেছেন এমন পশু কোরবানি দিতে। যাতে যার উপর আমাদের মায়া জন্মায়। এবং কোরবানি দিতে কষ্ট হয়। আমরা যদি একটা অসুস্থ পশুকে কোরবানি দিয়ে থাকে। তাহলে আমাদের কুরবানী কবুল করে নিবেন না। তাই আমাদের উচিত সুস্থ-সবল পশু কোরবানি দেয়া।

ঈদের দিন কোরবানি দিতে হয়। ঈদের দিন পশু কোরবানি দেওয়ার পর। অবশ্যই কোরবানির মাংস খেতে হবে। যিনি আল্লাহর দরবারে কোরবানি দিচ্ছেন। তাকে প্রথমে ঈদের দিন মাঠের নামাজে যেতে হবে।

ঈদের জামাত শেষ করে বাসায় এসে কোরবানি দিতে হবে। তারপর কোরবানির মাংস ভাগবাটোয়ারা করে। প্রতিবেশীদের কাছে মাংস পৌঁছায়। মাংস খেতে হবে। তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের কুরবানী কবুল করে নিবেন। এবং আমাদের সওয়াব দান করবেন।

মহান আল্লাহতালা যাদের উপর কোরবানি ফরজ করে দিয়েছেন। অবশ্যই তাদেরকে ঈদুল আযহার দিনের কোরবানি দিতে হবে। আল্লাহর দরবারে সন্তুষ্টির জন্য। যদি কোরবানি দেয়া হয় তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।

এবং আমাদের কুরবানী কবুল করে নিলে আমরা কোরবানির জন্য অনেক সওয়াব পাবে। আমাদের সবার উচিত যাদের উপর কুরবানী ফরজ হয়েছে তাদের কোরবানি দেয়া।

Advertisements

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More