কবিরা গুনার মধ্যে তিনটি জঘন্যতম গুনাহ

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করলেও। আমরা জানা-অজানা অনেক গুনাহ করে ফেলি। কিছু গুনাহ মাফের যোগ্য। আবার কোনোটি মাফের অযোগ্য। মহান আল্লাহতায়ালা যেসব গুনাহ না করার কথা বলেছেন। কিন্তু শাস্তির কথা বলেননি। সেসব গুনা ছোট গুনা।আর যেসব গুনার  কথা বলেছেন সঙ্গে সঙ্গে সে কারণে দুনিয়াতে আখিরাতে শাস্তির বিধান বলে দিয়েছেন।

এসব গুলো বড় বড় গুনা। কিন্তু কোন গুনাহকে ছোট বা বড় বলা যাবেনা। মহান আল্লাহ তাঁর নির্দেশিত সকল বিধান আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর  সকল নির্দেশ পালন করা।

ইসলামী শরীয়তে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম এবং মহান আল্লাহ তাআলা যেসব পাপের উপর নিষেধাজ্ঞা করেছেন।  সেগুলো কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

১. সগিরা গুনাহ

সগিরা গুনাহ হল ছোট ছোট অপরাধ। কোরআন হাদিসে যে সমস্ত অপরাধগুলো আল্লাহতালা এবং রাসূল নিষেধ করেছেন এসব অপরাধ গুলো হল সগিরা গুনাহ। এসব অপরাধের জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু শাস্তির কথা উল্লেখ নেই।

২. কবিরা গুনাহ

কবিরা গুনাহ হল এমন কিছু পাপ কর্ম। যেগুলো করলে দুনিয়াতে শাস্তির বিধান রয়েছে। এবং পরকালেও শাস্তির বিধান রয়েছে। কুরআন-হাদিসে কিছু কিছু পাপের জন্য শাস্তি নির্দিষ্ট করে দেয়া রয়েছে। সেগুলি হল কবিরের গুনার অন্তর্ভুক্ত হয়। কবিরের গুনার জন্য দুনিয়াতেও শাস্তির বিধান রয়েছে আখিরাতেও শাস্তির বিধান রয়েছে।

আজকে আমরা আলোচনা করব জঘন্যতম তিনটি কবিরা গুনাহ সম্পর্কে।

১. শিরক করা

পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে জঘন্যতম গুনাহ হল শিরক। শিরক করা হলো মহান আল্লাহ তা’আলার সমকক্ষ কাউকে মনে করা। কেউ যদি কখনো মহান আল্লাহতালার সমকক্ষ হিসেবে। কারো আনুগত্য করে শক্ত করে বা কাউকে মহান আল্লাহ তাঁর সমকক্ষ মনে করেন। তাহলে সেটি শিরক করা বলে গণ্য হবে। আর শিরক করা হল একটি জঘন্যতম কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত

২. মা বাবার অবাধ্য

আমরা অনেকেই অনেক সময় মা বাবার অবাধ্য হয়ে থাকি।মা বাবার কথা শুনতে চাই না। আমরা এগুলোকে কিছুই মনে করি না। মাঝে মাঝে মা বাবার কথা না শুনলে ও যেটা গুনার অন্তর্ভুক্ত সেটাও মনে করি না। কিন্তু মা বাবার অবাধ্য তা শুধু গুনাহই নয়। বরং এটি একটি জঘন্যতম কবিরা গুনা অন্তর্ভুক্ত।

৩. মিথ্যা সাক্ষ্য

মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে অন্যতম একটি কবিরা গুনাহ। আমরা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া কে ছোটখাটো মিথ্যা কথার মতো অপরাধ মনে করে থাকি। কিন্তু মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে অনেক বড় ধরনের একটি জঘন্যতম কবিরের গুনার অন্তর্ভুক্ত অপরাধ।

কবিরা গুনাহ এমন কিছু গুনা যেগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন না। অতএব আমাদের সকলেরই উচিত ছোট থেকে বড় যত রকমের পাপ কর্ম রয়েছে। সেগুলো থেকে বিরত থাকা। আমাদের উচিত আল্লাহ তাআলার নির্দেশ মান্য করা। এবং সকল পাপাচার থেকে বিরত থাকা কোরআন হাদিসের আলোকে জীবন গড়া।