আল্লাহর জিকির । আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জিকির সমূহ । আল্লাহর ৯৯ নামের জিকির
কয়েকটি ফজিলতপূর্ণ আল্লাহর জিকির
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। এই লিখাটার উদ্দেশ্য আমরা কিভাবে আল্লাহর জিকির এর মাধ্যমে আমরা সবসময় এবাদতের ভিতর থাকতে পারি ।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ” ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লাহ লিয়াবুদুন ”
এর অর্থ হচ্ছে আমি জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত করার জন্য। অর্থাৎ মহান আল্লাহতালা আমাদের দুনিয়াতে সৃষ্টি করে পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের দুনিয়াতে সৃষ্টি করে পাঠিয়েছেন তার এবাদত করার জন্য।
কারণ এই পৃথিবীতে আমরা আখিরাতের শস্যক্ষেত্র হিসেবে গণ্য করি আমরা দুনিয়াতে যা কাজ করবে তার ফলস্বরূপ। জান্নাত জাহান্নাম পাব আমরা দুনিয়াতে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে থাকে।আল্লাহ তাআলা আমাদের ঘুম থেকে উঠে ঘুমানো পর্যন্ত ইবাদতের মধ্যে রেখেছেন অর্থাৎ আমাদের প্রতিটা কাজের মধ্যেই। মহান আল্লাহতালা ইবাদত রেখেছেন আমরা যদি চেষ্টা করি।
তাহলে আমরা আমাদের প্রতিটা কাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে পারব। মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত রয়েছে সেগুলো আমরা যদি চেষ্টা করি।প্রতিটা কাজের মধ্যেই মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত রাখতে পারব। সেজন্য ইবাদত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মহান আল্লাহর জিকির করা।
মহান আল্লাহতালার অনেকগুলো জিকির রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সম্পূর্ণ জিকির নিয়ে। আমাদের আজকের আলোচনার। চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনাটি।
ফজিলতপূর্ণ আল্লাহর জিকির
১. সুবহানাল্লাহ পাঠ
আমরা যদি প্রতিদিন বার সুবহানাল্লাহ পাঠ করি তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের উপর সন্তুষ্ট ১০০হয়ে। আমাদের জন্য ১০০০ সওয়াব লিখে রাখেন। এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়।
২. আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ পাঠ একটি সর্বোত্তম দোয়া পাঠ করলে আমাদের মিজানের পাল্লা ভারী হয়ে যাবে।
৩. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহর একটি সর্বোত্তম জিকির আমাদের সবার অবশ্যই উচিত এই জিকিরটি সবসময় পাঠ করা।
৪. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
যে ব্যক্তি প্রতিদিন আল্লাহর এই জিকিরটি তিনটি ১০০ বার পাঠ করবে তার সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
জিকির মহান আল্লাহতালার এমন একটি ইবাদত যা আমরা সমস্ত কাজের ফাঁকে ফাঁকে করতে পারি। অর্থাৎ জিকির করার জন্য আলাদাভাবে সময় দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না আমরা কোন কাজ করতেছি তাহলে মহান আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করলাম।
অর্থাৎ আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যদি আলহামদুলিল্লাহ বলি। তাহলে আমরা সব অর্জন করলাম আবার খাওয়া-দাওয়ার শুরু বিসমিল্লা বলি। তাহলে মহান আল্লাহতালার অর্জন করলাম এভাবে আমাদের প্রতিটা কাজের মধ্যে যদি মহান আল্লাহতালার করি।
তাহলে আমরা মহান আল্লাহর জিকির এর মাধ্যমে অনেক সওয়াব পাবো। সব পাবো না আমাদের পূর্বের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তাই আমাদের উচিত এই কয়েকটি ফজিলতপূর্ণ আল্লাহর জিকির সবসময় করা।
আরও পরতে পারেন
সহজ ইস্তেখারা।আল্লাহর যে দুটি নাম পড়ে ঘুমালে স্বপ্নে নির্দেশনা পাবে ইনসাল্লাহ