দুবাই কোরআনিক পার্ক এর রহস্যঘেরা আসহাবে কাহাফের গুহা

দুবাই কোরআনিক পার্ক এর রহস্যঘেরা আসহাবে কাহাফের গুহা

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে বলেন-“জালিকাল কিতাবু লা রাইবাফি”।এই পবিত্র কিতাবে কোন ভুল নেই। প্রিয় পাঠক এই কিতাব নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, এই পবিত্র কিতাব কোন সন্দেহ নেই।

কর্মমুখী মানুষের বিশ্রাম ও আনন্দের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন পার্ক। মানুষেরা আনন্দ করার জন্য সপরিবারে পার্কে যায়। এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সেইসব পার্কে গিয়ে আনন্দ ভ্রমণ করে হইহুল্লোড় করে। এবং তারা অনেক আনন্দ পায়। পৃথিবীতে রয়েছে অনেক পার্ক। তেমনি একটি পার্ক সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো- যেটি মহান আল্লাহ তালার কুরআনের আলোকে তৈরি একটি নান্দনিক পার্ক।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের তৈরি করা হয়েছে একটি পার্ক। যার নামকরন করা হয়েছে কোরানিক পার্ক। কোরআনের আলোকে চিকিৎসা ও বিজ্ঞান বিষয়ে জানতে অসংখ্য পর্যটক ভিড় জমাচ্ছেন এই নান্দনিক পার্কে। একজন দর্শনার্থী বলেন, পার্ক থেকে কিছু গাছ দেখতে পেলাম। যেমনঃ জয়তুন গাছ গাছ ও ত্বিন গাছসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ।

-Advertisements-

পার্কের একজন কর্মচারী বলেন- আমি এই পার্কে কাজ করি এবং এখানে দেখি যে প্রতিনিয়ত শত শত পর্যটক এই পার্কে ঘুরতে আসে। এখানে কোরআনের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে, বিশাল-বিশাল গুহার আদলে আলাদা আলাদাভাবে ভিডিও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে দর্শনার্থীরা খুব সহজেই কোরআনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে।

এবং কোরআনে  উল্লিখিত কালোজিরা, জয়তুন গাছ তারা সামনাসামনি দেখতে পারছে। যা তাদের উল্লেখিত বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহী করে তুলেছে। গবেষক আব্দুস সালাম বলেন, কোরানিক পার্কে সেইসব গাছ রয়েছে যেসব গাছ পবিত্র কোরআনুল কারিমে বর্ণিত রয়েছে। এছাড়াও পবিত্র কুরআনুল কারীম ও পবিত্র হাদীসের যেসব গাছের কথা বর্ণিত রয়েছে তা হতে অনেক কোরানিক পার্কে রোপন করা রয়েছে।

পবিত্র কুরআনুল কারীম ও হাদিস শরীফে যে সমস্ত নোহর এর কথা বলা হয়েছে। সেই সব নোহর এখানে রয়েছে। তা ছাড়াও যে সমস্ত গুহার কথা পবিত্র কুরআনুল কারীম এবং হাদীস শরীফে রয়েছে। সেইসব ঘর আদলে এখানে অনেকগুলো গুহার আকৃতি দেয়া হয়েছে। বাস্তবে যদি কেউ আসাবে কাহাফ এর ভিতরে যায় তাহলে সে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবে।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছিলেন তুমি যদি আসাবে কাহাফ এর ভিতরে যাও তাহলে তোমার শরীর এ হিমশিম এসে যাবে । তেমনি কেউ যদি এই পার্কের আসাবে কাহাফ এর ভিতরে যায়  তাহলে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। সেভাবে সাজানো হয়েছে এই গুহাটি। তাই বলা হয়ে থাকে নান্দনিক এই পার্কের গুহাটি অনেক ভয়ঙ্কর রহস্যে ঘেরা।

 

Advertisements

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More