নারী অধিকার সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু বাণী

নারী অধিকার সম্পর্কে

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আমাদের বর্তমান সমাজে নারীদের অন্য চোখে দেখা হয়। আমরা এই শিক্ষা পেয়েছি প্রাচীনকাল থেকে। প্রাচীনকাল থেকে নারীদের শুধু ভোগের বস্তু হিসেবে দেখা হতো। তাদের অধিকার বিষয়ে সচেতন ছিলাম না। কিন্তু মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নারীদের অধিকার দিয়েছেন। তার জামানায় আরবে নারীদের অশোচনীয় অত্যাচার করা হতো।

তাদের বিক্রি  করা হতো। এবং নারীদের শুধু আনন্দ-ফুর্তিতে এবং ভোগের বস্তু হিসেবে দেখা হতো। তিনি নারীদের এমন শোচনীয় অবস্থা দেশে নারীদের জন্য অধিকার নিশ্চিত করেছেন। এবং পরবর্তীতে যেন আমরা নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারি। সেজন্য কিছু বাণী দিয়েছেন সেগুলো পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাসূল (সা) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের জীবন সঙ্গিনীকে কখনো অত্যাচার ও দাসীর মতো মারপিট করো না’ (বুখারী ও মুসলিম)। এমনকি হাদিসে এমন কথাও বলা হয়েছে যে, সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। অন্যদিকে ইসলামে মা হিসেবে নারীকে সম্মান করেছে। মায়ের সম্মান ও খেদমত জান্নাত লাভের অন্যতম উপায়।

রাসূল (সা) বলেন, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত’ (আবু নাঈম শরীফ)। কোরান শরীফে সুরা লোকমানসহ বিভিন্ন সুরায় মায়ের সঙ্গে সদাচরণের কথা বলা হয়েছে। মা অন্য ধর্মের অনুসারী হলেও তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে হবে।

-Advertisements-

তৎকালীন আরব সমাজের নারীদের করুণ অবস্থা সম্পর্কে পবিত্র কোরানে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘তাদের কাউকে যখন মেয়ে জন্মের সংবাদ দেওয়া হয় তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। এবং সে দুঃখ-চিন্তায় ব্যথিত হয়ে পড়ে। এ সংবাদটিকে তারা এত খারাপ সংবাদ মনে করত যে, নিজেকে লোকজনের থেকে গোপন রাখতে থাকে।

আর চিন্তা করতে থাকে যে, লজ্জা শরম ও অবমাননা সহ্য করে মেয়েটিকে রাখবে, না তাকে মাটির নিচে জীবন্ত কবর দিবে। রাসূল (সা) এ দৃশ্য দেখে তাদের নিষেধ করলেন। তিনি বলেন, তোমরা কন্যা সন্তানদের খাবারের ভয় করো না। কেননা তোমাদের রিজিকদাতা আল্লাহ তায়ালা।

আল্লাহ বলেন- ‘তোমাদের সন্তানদিগকে দারিদ্র্যের ভয়ে হত্যা করো না। তাদেরকে আমিই রিজিক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয়ই তাদের (কন্যা সন্তানকে) হত্যা করা মহাপাপ’শুধু তাই নয়, রাসূল (সা) কন্যা সন্তানের সম্মান বৃদ্ধি করেন। প্রিয় নবী (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে তারা তার জন্য জাহান্নাম অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে’।

ইসলামপূর্ব সময়ে স্ত্রীদের শুধু ভোগের সামগ্রী মনে করা হতো। কিন্তু ইসলাম স্ত্রীর সঙ্গে উত্তম আচরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সদ্ভাবে জীবনযাপন কর।

নারী জাতি মায়ের জাতি। তাই অবশ্যই আমাদের উচিত নারীদের সম্মান করা। এবং ইসলামে নারীদের সম্মান এর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা অবশ্যই নারীদের সম্মান করবো।

Advertisements

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More