ইমাম মাহদীর লক্ষণ ও আত্মপ্রকাশ

ইমাম মাহদীর লক্ষণ ও আত্মপ্রকাশ

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, যখন পৃথিবীতে ইমাম মাহদীর আগমন ঘটবে। তখন হজে মিনায় গণহত্যা হবে। একটি বর্ণনায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, জিলকদ মাসের বিভিন্ন গোত্রের মাঝে দ্বন্দ্ব ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হতে পারে । এতে হজ কারীরা লুন্ঠনের শিকার হবে এবং যুদ্ধ সংঘটিত হবে।

এভাবেই মিনাতে যুদ্ধ সংঘটিত হবে। সেখানে ব্যাপক মারামারির সংঘটিত হবে। রক্তের স্রোত বয়ে যাবে। এমনকি রক্তের স্রোত আঁকাবাতুল চামড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাবে। অবশেষে তাদের নেতা ইমাম মাহদী মাকাম ও রোকনের মধ্যখানে ইব্রাহিমের চলে আসবে। ইমাম মাহদীর অনীহা থাকা সত্ত্বেও মানুষ ইমাম মাহাদির নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবে।

ইমাম মাহাদী কে বলা হবে। আপনি যদি আমাদের থেকে বায়াত নিতে অস্বীকার করেন। তাহলে আপনার ঘাড় গুরিয়ে দেয়া হবে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “বদর যুদ্ধে যতজন মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল”। ঠিক সমান সংখ্যক মানুষ ইমাম মাহাদির নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবে।

-Advertisements-

সেদিন তার হাতে যারা যারা বাইয়াত গ্রহণ করবে। আকাশ ও জমিনের অধিবাসীরা তাদের উপর সন্তুষ্ট থাকবে। আরো বলা আছে যে লোকেরা যখন পালিয়ে ইমাম মাহদীর নিকটে চলে আসবে। তখন ইমাম মাহদী কাবাঘরের জড়িয়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় থাকবে। তখন মানুষরা হযরত মাহদিকে বলবে, আসুন আমরা আপনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করি।

তখন হযরত মাহদি বলবে আফসোস তোমরা কত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। ইমাম মাহদীর অনিহা থাকা সত্ত্বেও ইমাম মাহদী মানুষের বায়াত নেবেন।

আরো উল্লেখিত রয়েছে যে, মানুষকে বলা হয়েছে যে তোমরা যখন হযরত মাহদিকে পাবে তখন তার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবে। কারণ হযরত মাহদি জমিনে ও আসমানে ইমাম মাহদী। মিনায় যে যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। সেই যুদ্ধ একদিনে সংঘটিত হবে না। এই যুদ্ধ কালের বিবর্তনে ইসলামের শত্রুতার কারণে সংঘটিত হবে।

কারন উল্লেখিত রয়েছে যে, ইমাম মাহাদী যে বছর আত্মপ্রকাশ ঘটবে। সে বছর দুইজন ঘোষক ঘোষণা করবে। একজন ঘোষণা করবে আসমান থেকে আরেকজন ঘোষণা করবে জমিন থেকে। এক পর্যায়ে পৃথিবীর ঘোষণাকারী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। এবং গাছপালার রং পর্যন্ত রক্তে লাল হয়ে যাবে। সেদিন যারা আকাশের ঘোষণায় সাড়া দিবে সেই সব মানুষেরা এই আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কোনো এক রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে   বিকট  শব্দ আসবে। সেই  শব্দে 70 হাজার মানুষ জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। এবং হাজার হাজার মানুষ বধির হয়ে যাবে। তারপর আরো একটি শব্দ হবে। অর্থাৎ দুইটি শব্দ হবে। একটি হবে শয়তানের। আরেকটা হবে জিবরাঈল আলাইহিস সালামের।

Advertisements

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More