নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ কয়টি ও কি কি বিস্তারিত
নামাজ ভঙ্গের কারণ
আজ আমি ইসলামের পাঁচ টি স্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ টি নিয়ে আলোচনা করবো। আর তা হলো নামাজ এবং নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ নিয়ে। আমরা সকলে জানি ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান হচ্ছে নামাজ। আর এই নামাজ আমরা কত অবহেলায় আদায় করে থাকি। কিন্তু এর কারণে আমাদের নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায় আমরা তা লক্ষ্য করি না। আমরা জানি না, নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ কি, নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি। যদি জানতাম তাহলে হয়তো অবহেলায় আর নামাজ আদায় করতাম না। কিন্তু হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। এছাড়া আল্লাহ তাআলা কোরআনে স্পষ্ট ভাবে বিভিন্ন জায়গায় ৮২ বার নামাজ বা সালাত শব্দ টি উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই আমাদের সকলের উচিত নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি? সে সম্পর্কে পূণাঙ্গ ধারণা নিয়ে সহিহ শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করা। তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করি আমাদের আলাচনার মূল আলোচ্য বিষয় নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
Sponsored
হাদিসের আলোকে নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ
আমরা অনেকেই জানিনা নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি। সালাত ভঙ্গের কারণ হলো ১৯ টি। নিম্নে নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি আলোচনা করা হলো-
১। নামাজে কোরান শরীফ দেখে পড়া। যা নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ এর মধ্যে অন্যতম।
২। নামাজে কোরআন তিলোয়াত ভুল পড়া যার কারণে অর্থ পাল্টে যায়, যা নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ এর একটি।
৩। নামাজে কথা বলা যাবে না। কথা অল্প বা বেশি যাই হোক।
৪। যদি কেউ নাপাক স্থানে সেজদা করে, তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। যা নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ এর মধ্যে অন্তরভূক্ত।
৫। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় নামাজের কোনো একটি ফরজ ছুটে গেলে।
৬। মুক্তাদি ব্যতিত অপর ব্যক্তির ইমামের লোকমা দেওয়া। যা নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ এর অর্ন্তগত।
৭। যদি দাঁতে আটকে থাকা খাদ্য জিহবা দিয়ে বের করে খেয়ে ফেলে, তাহলে নামাজ ভঙ্গ হবে। কিন্তু উক্ত খাদ্য চানাবুটের চেয়ে ছোট হলে নামাজ নষ্ট হবে না।
৮। কিবলামুখী না হয়ে নামাজ পড়া। নামাজ ভঙ্গের কারণ।
৯। এমন বস্তু প্রার্থনা করা যার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়, যা মানুষের নিকট চাওয়া সম্ভব।
১০। ব্যাথা বা বিপদের কারণে স্বশব্দে ক্রন্দন করা নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ এর আরেক টি বিশেষ কারণ। তবে জান্নাত ও জাহান্নামের স্বরণে ক্রন্দন করলে নামাজ নষ্ট হবেনা।
১১। হাচির জবাবে “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বলা নামাজ ভঙ্গের কারণ।
১২। সুসংবাদ শুনে “আলহামদুলিল্লাহ” বলা নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ এর একটি।
১৩। দুঃসংবাদ শুনে উত্তরে ‘ইন্নালিল্লাহ’ বললে নামাজ ভঙ্গ হবে।
১৪। ইমামের আগে মুক্তাদির নামাজের কার্যক্রম সম্পন্ন করা। নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ এর মধ্যে অন্যতম।
১৫। বয়স্ক ব্যক্তির নামাজে অট্টহাসি দেওয়া। নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ এর অর্ন্তগত।
১৬। বিনা প্রয়োজনে গলা খাকড়ানো বা পরিষ্কার করা নামাজ ভঙ্গের কারণ।
১৭। তিন তাসবিহ পরিমাণ সতর খুলে থাকা।
১৮। নামাজরত অবসস্থায় কারো সালামের উত্তর দিলে তা নামাজ ভঙ্গের কারণ।
১৯। নামাজ পড়াকালীন এমন কাজ করা যা বাইরে থেকে দেখে এমন মনে করা যে, লোকটি নামাজ পড়ছে কিনা। যেমন দু`হাত দিয়ে কাপড় ঠিক করা যা নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ এর একটি।
বন্ধুরা, উপরে উল্লেখিত নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ কি কি তা জানতে পেয়েছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল কে এর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। আর নামাজকে পরকালের নাজাতের ওসিলা বানিয়ে দিন। আমিন
আপনি আরো পড়তে পারেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা | নামাজের শারিরিক উপকারিতা।