শয়তানের হাত থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আলোচনা

শয়তানের হাত থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আলোচনা

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

শয়তান বিভিন্নভাবে মানুষকে ধোকা দিয়া পাপ কাজ এর দিকে প্রভাবিত করে। আমাদের আজকের আলোচনার কিভাবে শয়তানের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনাটি।

যেভাবে শয়তানের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে

শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচার বিভিন্ন ধরনের আমল কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন—

১.আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা

আল্লাহ বলেন, ‘যখন কোরআন পাঠ করো তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো (আউজুবিল্লাহ পাঠ করো)।

২. কাজ কর্মে সতর্কতা

মহানবী (সা.) বলেন, ‘সূর্যাস্তের পর আধাঘণ্টা পর্যন্ত ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে এবং বাচ্চাদের ঘরের বাইরে যেতে দেবে না। কারণ এ সময় শয়তান চলাচল করে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখলে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।

৩. ভালো প্রবণতাকে প্রাধান্য দেওয়া

-Advertisements-

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আদমসন্তানের ওপর শয়তানের একটি প্রভাব আছে। অনুরূপ ফেরেশতারও একটি প্রভাব আছে। শয়তানের প্রভাব হলো, অকল্যাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা।

আর ফেরেশতার প্রভাব হলো, কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং সত্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করা। সুতরাং যে ব্যক্তি কল্যাণের অবস্থা উপলব্ধি করে সে যেন জেনে রাখে, এটি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেই হয়েছে। কাজেই তার উচিত আল্লাহর প্রশংসা করা।

আর যে ব্যক্তি অকল্যাণের অবস্থা উপলব্ধি করে, সে যেন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) এ আয়াত পাঠ করেন, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতার প্রতি নির্দেশ দেয়।’

৪. নামাজে মনোযোগ সৃষ্টি

উসমান ইবনে আবুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি একবার রাসুল (সা)-এর কাছে আরজ করি, হে আল্লাহর রাসুল! শয়তান আমার ও আমার নামাজ-কিরাতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং তাতে জটিলতা সৃষ্টি করে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, ‘তুমি যখন তার উপস্থিতি অনুভব করবে তখন তার কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তোমার বাঁ দিকে তিনবার থুতু ফেলবে।’

আমাদের উচিত বেশি বেশি করে এবাদাত করা তাহলে আমরা শয়তানের হাত থেকে মুক্তি পাব। আমরা যত বেশি ইবাদত করব শয়তান আমাদের তথ্য কাছে আসতে ভয় পাবে আমরা যদি আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে থাকে।

তাহলে আমাদের পাশে আর শয়তান আসতে পারবে না। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহ তাআলার ইবাদত থেকে দূরে থাকে। তাহলে সব সময় আমাদের সাথে শয়তানি মিশে যাবে। এবং শয়তানের প্ররোচনা দিয়ে আমাদের বিভিন্ন খারাপ কাজে সহায়তা করতে বাধ্য করবে।

আর এভাবে খারাপ কাজের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহতালার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যাবো। এবং নৈকট্য লাভ করতে পারব না তাই আমাদের উচিত শয়তান থেকে দূরে থাকা।

Advertisements

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More