আল্লাহর সিফাতী ইয়া জাব্বারু নামটি কেন এত শক্তিশালী?
আল্লাহর সিফাতী ইয়া জাব্বারু নামটি কেন এত শক্তিশালী
আসসালামুয়ালাইকুম বাড়ছে দিন। কমছে আয়। এই বুঝি যেতে হয় মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ। জবাব দিতে হবে, জবাব নেই কাছে। জানিনা কি পাবো পরকালে? ইবাদত করি নাই ইহকালে। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ও দোয়ায় অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।
Sponsored
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মহান আল্লাহ তাআলার শক্তিশালী একটি সিফাতি নাম। যা সম্পর্কে আপনাদের সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। মহান আল্লাহ তাআলার শক্তিশালী সিফাতি নামটি হল ইয়া জাব্বারু। অত্যন্ত জালালী এর অর্থ হল -হে অজেয় শক্তিশালী, [আল্লাহু আকবার]।
একবার ভেবে দেখুন এই নামটির অর্থ হলো সে অজয়, হে শক্তিশালী। প্রিয় দর্শক চলুন আমরা এই নামটির আমল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আমরা সবাই জানি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার এই পৃথিবী এরশাদ করেছেন। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন তোমরা আমার সুন্দর সুন্দর নামে ডাকো।
আমি অবশ্যই তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। মহান আল্লাহ তাআলার 99 টি সিফাতি নাম রয়েছে। তন্মধ্যে ইয়া জাব্বারু নামটির অর্থ হল অজেয় শক্তিশালী। এছাড়াও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলার 99 টি নাম মুখস্ত করবে এবং সেই 99 টি নাম পাঠ করবে সেই ব্যক্তি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।[ সুবহানাল্লাহ]।
এবার জেনে নেয়া যাক ইয়া জাব্বারু নামের আমল। এই পবিত্র ইসিম মোবারক যে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় 261 বার পাঠ করবে। সেই ব্যক্তি অত্যাচারীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবেন। মহান আল্লাহ তা’আলা তার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন সুবহানাল্লাহ। এছাড়াও বিভিন্ন আলেম-ওলামারা বলে থাকেন কারো যদি সন্তান না হয়ে থাকে।
তাহলে বিভিন্ন মাজারে না গিয়ে বরং তোমরা আল্লাহর সিফাতি নামের আমল করবা নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন। এক্ষেত্রে তারা বলে থাকেন টানা ২১ দিন তিন হাজার বারের মতো পাঠ করলে এবং পাঠ করার পর কোন খাদ্য দ্রব্যে ফু দিয়ে তার স্ত্রী ও তিনি নিজেই খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করলে এভাবে 21 দিন টানা এই ইসিম মোবারকপুরে আমল করলে অবশ্যই মহান সৃষ্টিকর্তা তাদের নেক সন্তান দান করবেন।
তবে এজন্য তাকে খাস করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে এবং আল্লাহর সিফাতী নাম সমূহের ইবাদত করতে হবে। আলেম উলামারা বলেন তার পাশাপাশি ফকির মিসকিনের খাওয়াতে হবে এবং গরীব দুঃখীদের দান সদকা বেশী করে করতে হবে এবং মহান আল্লাহ-তায়ালার কাছে নেক সন্তান প্রার্থনা করতে হবে।
মহান আল্লাহতালার এছাড়াও অনেক ধন্যবাদ নাম রয়েছে যেগুলো আমল করলে আমাদের ইহকালে ও পরকালে সুখ পাওয়া যাবে