যে আমলগুলো করলে আপনি হাসতে হাসতে জান্নাতে পৌঁছাবেন

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় বাণী কথার পাঠক বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই  মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার আমল করার জন্য আমরা যদি তার আমল করি তাহলে মহান আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আমাদের পরকালে জান্নাত দেবেন। আর যদি আমল না করি তাহলে আমরা কখনো জান্নাত পাব না জাহান্নামে পতিত হবে। কঠিন কিয়ামতের দিন কেউ কাউকে চিনবে না। মা তার ছেলেকে চিনবেনা পিতা তার সন্তানকে চিনবে না স্বামী তার স্ত্রীকে চিনবে না সমস্ত মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকবে।

আল্লাহর সহায়তা চাইবেন তাদের সহায়তা করবে না। তাদের একমাত্র সহায়তা করবে তাদের আমল যে ভাল আমল করবে  সে জান্নাতে যাবে, আর একটি আমল করবে না সে জাহান্নামে যাবে। মহান আল্লাহতালা আমাদের অনেক আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন তার মধ্যে কিছু কিছু আমল রয়েছে। যেগুলো করলে আমাদের হিসাব নিকাশ অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে।

আমরা অতি সহজেই জান্নাতে যেতে পারবো আমাদের আজকের আলোচনার আমরা কোন আমল গুলো করলে অতি সহজে জান্নাতে যেতে পারবে অর্থাৎ হাসতে হাসতে জান্নাতে যেতে পারবো

চলুন শুরু করা যাক আলোচনাটি

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা মুমিন আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী। তাদের আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে। আর জেনে রাখুন আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর শান্তি পায়”।

অতএব বুঝা যায় যে, মুমিন-মুসলমানরা যদি তাদের অন্তরের শান্তি চায়। তবে অবশ্যই তাদের আল্লাহর জিকির করতে হবে। আমরা অনেকেই মনে করি আমি তোর নাম মাত্র মুসলমান। আমিতো নামমাত্র আল্লাহ তা’আলার বান্দা। আল্লাহ তালার এত নেক বান্দা থাকতে আল্লাহতালা কে আমায় স্মরণ করবেন? অবশ্যই স্মরণ করবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে মহান আল্লাহতালা কে বেশি বেশি স্মরণ করতে হবে। তাহলেই মহান আল্লাহতালা আপনাকে স্মরণ করবেন। আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন,” তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে আমিও তোমাদের স্মরণ করব”। তোমরা আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।

নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির করে না। তারা হলো জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মত। তিনি আরো বলেন যে, ব্যক্তি প্রতিদিন 100 বার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুলিন শাইয়িন কাদির” বলবে।

সে দশটি গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব পাবে। আল্লাহ তাআলার জিকির করলেই  যদি আল্লাহ তায়ালাকে পাওয়া যায়। তাহলে আল্লাহ তাআলার জিকির ঐ সর্বশ্রেষ্ঠ আমল।

যারা হাসতে হাসতে জান্নাতে যেতে চান। তারা অবশ্যই তাদের অবসর সময় গুলোতে মহান আল্লাহ তাআলার জিকির সময় কাটাবেন। আল্লাহ তাআলার জিকির করলে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের হিসাব গুলো ক্ষমা করে দেবেন। এবং আমাদের জান্নাত দেবেন।

আমরা অনেক অবসর সময় পাই। আমরা সেই সময়গুলোতে মহান আল্লাহ তাআলার জিকির করতে পারি। তাহলে মহান আল্লাহতালা আমাদের পরকালে জান্নাত দেবেন।